শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > বিডিআর বিদ্রোহ মামলার তদারকি কর্মকর্তার বক্তব্য > এত রক্তপাত ও প্রানহানির ঘটনা আর ঘটেনি

বিডিআর বিদ্রোহ মামলার তদারকি কর্মকর্তার বক্তব্য > এত রক্তপাত ও প্রানহানির ঘটনা আর ঘটেনি

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
নারায়নগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ৭ খুন মামলায় ফাঁসির দন্ড হয়েছে ২৬ জনের ৯ জনের মৃত্যুদন্ডের রায় হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বাধিক শাস্তির ঘটনাছিল বিডিআর বিদ্রোহ মামলায়। ওই মামলার রায়ে ১৫২ জনের মৃত্যুদন্ড আর ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে মামলার তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা তৎকালীন সিআইডি পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি শাহ জামান রাজ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মামলাটি সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের সাথে তদন্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি একটি বড় ধরনের ফৌজদারি অপরাধের ঘটনা। সম্ভবত এত রক্তপাত এবং সম্ভাবনাময় আর্মি অফিসারের এক সঙ্গে প্রানহানির এত বড় ঘটনা আর ঘটেনি।

তিনি বলেন, সাক্ষ্য হাজির, আলামত উপস্থাপন, অভিযোগপত্র দাখিলসহ মামলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে বলেই আদালত সেটা আমলে নিয়ে রায় প্রদান করেছে। যারা এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত তাদের প্রত্যেকেই অভিযুক্ত কারা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী তাদের পানিশমেন্ট হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট অনেকই বলছেন রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি তর্ক সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারলে উচ্চ আদালতে এ রায় বহাল থাকতে থাকতে পারে।

জানাগেছে, ২০০৯ সালের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা তৎকালীন বিডিআরের সদর দপ্তর পিলখানায় দ্রাহ ও ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংঘটিত বিদ্রোহের ঐ ঘটনায় ৫৭জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। রক্তাক্ত ঐ বিদ্রোহের পর সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিডিআরের নাম বদলে রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বাহিনীর পোশাকও বদল করা হয়। বিদ্রোহের পর বিডিআরের নিজস্ব আইন ও ফৌজদারি আইন, এই দুই আইনে বিচার শুরু হয়। বিদ্রোহের মামলার বিচার শেষে রায় ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। ৬০০০-এরও বেশি আসামির মধ্যে ৫৯২৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা  দেয়া হয়। এবং হত্যাকান্ডের মামলার রায় গত বছর ১৫২ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। একই মামলায় আরও ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছ। মামলার রায় উচ্চ আদালতের শুনানির শুরু হয়েছে। রায় বহাল থাকলে আইনগত ও আনসাঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে কার্যকরের উদ্যোগ নেয়া হবে।

নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছিলেন, পিলখানা হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার হয়নি, নতুনভাবে এ ঘটনার তদন্ত ও বিচার দাবী করেছেন তিনি। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বিডিআর বিদ্রোহের অনেক কারণ থাকতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সংসদে বলেছিলেন ঘটনাটি ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। ওই মামলার পুনরায় পর্যবেক্ষণ বা তদন্ত সরকার করবে কিনা এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিবিসিকে ওই সময় বলেছিলেন, উচ্চ আদালতে শুনানির পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত  নেয়া যাবে। আমাদের সময়.কম