বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৪ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৭ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > জাতীয় > বিদ্যুতে আরও ৫-৭ বছর ভর্তুকি থাকবে

বিদ্যুতে আরও ৫-৭ বছর ভর্তুকি থাকবে

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা: বিদ্যুৎ খাতে আরও পাঁচ-সাত বছর ভর্তুকি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

রোববার (১৮ মার্চ) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের ভবিষ্যত’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, লাইফ লাইন গ্রাহকদের মাত্র দুই টাকায় বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে। ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সাশ্রয়ী দামে বিদ্যুৎ উৎপাদন জরুরি। এজন্য কয়লা এবং পরমাণু ও এলএনজিতে যাচ্ছি। কম দামে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারলে ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো। যদি ভর্তুকি না দেই তাহলে ২০৪১ সালের যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব না।

প্রতিমন্ত্রী যখন ভর্তুকি নিয়ে এমন বক্তব্য দিচ্ছেন। সরকার বারবার বলছে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ভর্তুকি দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। এমনকি প্রতিবছর বাজেটেও ভর্তুকির জন্য বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। কিন্তু বিদ্যুৎ উন্নয়নবোর্ডে (পিডিবি) নাকি ভর্তুকি পাচ্ছে না বলে দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে।

যে কারণে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আবেদন করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি)। যার উপর গত ২৫ অক্টোবর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পিডিবি পাইকারি বিদ্যুতের দাম ৮৭ পয়সা (ইউনিট) হারে বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।

শুনানিতে পিডিবি দাবি করে, বেশি দামে বিদ্যুৎ ক্রয় করে কমদামে বিক্রির কারণে লোকসান পঁয়তাল্লিশ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ভর্তুকি দেওয়ার কথা থাকলেও দেয়নি সরকার। না দিয়ে কয়েক দফায় ৩৯ হাজার ৬’শ ১০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। যার বিপরীতে সরকার ৩ শতাংশ হারে সুদে কষে যাচ্ছে। এ ঋণের সুদ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪’শ ৮১ কোটি টাকা। আর এ ঋণের টাকাকে ভর্তুকি বলে প্রচার করা হচ্ছে।

নসরুল হামিদ বলেন, আমরা এখন শুধু লাইন দেওয়ার দিকে মনোযোগী দিচ্ছি। দ্রুত পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। শহরে ২০ শতাংশ হারে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। গ্রাম শহরের মধ্যে পার্থক্য কমে যাচ্ছে।

অন্যদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি সঞ্চালন-বিতরণও
অনেক চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে। জমির দাম বেশি। আবার উপ-কেন্দ্রের জন্য জমিও পাওয়া যাচ্ছে না চাহিদা মতো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনে অনেক প্রাইভেট কোম্পানি কাজ করছে। আমরা এখন টেস্ট কেস বেসিসে প্রাইভেটে সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করতে পারি। পরবর্তীতে ডিস্ট্রিবিউশন ভেবে দেখা যাবে। অবশ্য পল্লী বিদ্যুতের সমিতিগুলো অনেকটাই প্রাইভেট কোম্পানির মতোই।