শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতি রোধ ক্ষমতা ও পদ্ধতির ত্রুটি আছে : ড. মশিউর রহমান

বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতি রোধ ক্ষমতা ও পদ্ধতির ত্রুটি আছে : ড. মশিউর রহমান

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেছেন, বিশ্ব ব্যাংক যে নিয়মে আ আইনে চলে সেখানে কিছু দুর্বলতা আছে। দুর্নীতিকে আমরা প্রশ্রয় দেই না। আমরা চাই না, বিশ্বব্যাংক দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিক। কিন্তু বিশ্ব ব্যাংকের দুর্নীতি রোধের ক্ষমতা ও পদ্ধতির ত্রুটি দূর করা উচিৎ।

পদ্মাসেতু নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ করা মামলা আদলতে খারিজ হওয়ার পর বিবিসি বাংলার একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

পদ্মাসেতু নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে যেসব কর্মর্তার নাম এসেছিলো তাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানও একজন। অভিযোগ ছিলো, এসএনসি লাভালিন নামে একটি কোম্পানির তিনজন কর্মকর্তা ঘুষ দিয়ে পদ্মাসেতুর কাজ পাওয়ার চেষ্টা করেছিলো। এই ঘটনায় বাংলাদেশের উচ্চ পদস্থরা জড়িত ছিলেন- এ অভিযোগ তুলে বিশ্ব ব্যাংক ওই প্রকল্পে ১২০ কোটি ডলারের ঋণ বন্ধ করে দেয়। যা শনিবার কানাডার আদালত খারিজ করে দিয়েছে।

এ সম্পর্কে ড. মশিউর রহমান বলেন, অভিযোগ সঠিক ছিলো না- এটা প্রমাণ হয়ে গেলো। যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছিলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রথম থেকেই তাদের প্রতি যথেষ্ট বিশ্বাসী ছিলেন। এই ঘটনায় সাক্ষ্য প্রমাণ নেই, ধারণার ওপরে বলা হচ্ছে- এটি তিনি জানতেন। ফলে তিনি আমাদের কাউকেই বিচার সম্মুখীন করেন নি। তবে তদন্তে মোটেই বাধা পড়ে নি। যথাযথ তদন্ত করা হয়েছে। কিছু লোক বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলতে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলো।’

এই অভিযোগের ফলে যারা সুনামের দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের ব্যপারে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ?

প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের সাথে বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকবে। প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তাও স্বাভাবিক থাকবে। আর দুর্নীতির অভিযোগের ফলে একজন সাধারণ মানুষের মধ্যে যে দ্বিধা তৈরি হয়েছিলো সেটি যদি দূর হয় তবেই সুনাম অক্ষুন্ন থাকবে। এছাড়া আমাদের কর্মস্থলের স্বাভাবিকতা যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তবে সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই দেখবেন।’

বিশ্ব ব্যাংকে বা অন্য কারো বিরুদ্ধে মানহানি মামলা বা আইনী ব্যবস্থার কথা ভেবেছেন?

জবাবে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ব্যাংকের আইনে বলা আছে, বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ থেকে উদ্ভূত কোন বিষয়ে মামলা অথবা ক্ষতিপূরণ চাওয়া যাবে না।’

পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপনের সাথে দেশের ও দেশের বাইরে যারা জাড়িত ছিলো তাদের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশের একজন ব্যাংকার রয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কী?

তিনি বলেন, ‘মার্কিন রাজনীতিবিদ বিষয়ক কোন কথা বলবো না। কেননা মার্কিন রাজনীতিবিদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া আমাদের সাধ্যের বাইরে। আর যদি করতেও যাই তবে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশের ভেতরে যারা ক্ষমতা ব্যবহার করেন তাদের আচরণ যদি দেশ ও দেশের স্বার্থের পরিপস্থি হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে মনে করি।’ সূত্র: বিবিসি বাংলা