মঙ্গলবার , ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ , ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ , ৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > শীর্ষ খবর > বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন > ব্যাংকে জমে থাকা ৬১৪ কোটি টাকার লভ্যাংশ উধাও

বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন > ব্যাংকে জমে থাকা ৬১৪ কোটি টাকার লভ্যাংশ উধাও

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
বেসরকারি স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের বেতন খাতের জমে থাকা ৬১৪ কোটি টাকার লভ্যাংশ তুলে নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত দলের অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষকদের বেতনের বরাদ্দ ৬১৪ কোটি টাকা বিতরণ করা না হলেও সে টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ে ফেরত যায়নি। এই টাকার লভ্যাংশ তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে অধিদপ্তরের দাবি, এ খাতে কোনো অনিয়ম হয়নি, শিক্ষকদের প্রয়োজনেই টাকা রেখে দেয়া হয়েছে।

দেশের ৫ লাখ বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক সরকারের এমপিও সুবিধা পান। এসব শিক্ষকের বেতন-ভাতা পরিশোধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রতিমাসে অর্থ ছাড় করে অর্থ মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব চারটি ব্যাংকের মাধ্যমে এই অর্থ দেয়া হয়। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে এই বরাদ্দের অর্থ ব্যবহারে বড় অনিয়ম ধরা পড়েছে।

মাউশির কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন জটিলতায় অনেক শিক্ষক প্রতি মাসে বেতন তুলতে পারেন না। সেই অর্থ ব্যাংকে থেকে যায়। এভাবে কয়েক বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকে জমা হয়েছে প্রায় ৬১৪ কোটি টাকা। এই টাকার হিসাব গত তিন বছরে জানোনো হয়নি অর্থ মন্ত্রণালয়কে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বেতন খাতে খরচ না হওয়া টাকা অর্থবছর শেষে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ফেরত দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। মাউশি কর্মকর্তাদের একটি অংশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে তুলে নিয়েছেন তহবিলের লভ্যাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা হওয়ার পর ১২ এপ্রিল তা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরেও পাঠানো হয়েছে। তবে অনিয়মের অভিযোগ মানছে না অধিদপ্তর।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অভিযোগ, মাসের নির্ধারিত তারিখে বেতনের সরকারি অংশ তুলতে গিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়ছেন। অনেকে আবার দীর্ঘদিন পাচ্ছেন না এমপিও সুবিধা।

বেতন আটকে রেখে লভ্যাংশ তুলে নেয়ার অভিযোগের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে এখনো ব্যাখ্যা দেয়নি মাউশি। তবে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষকদের বেতন খাতে ব্যাংকে জমা টাকার হিসাব মেলানো হচ্ছে। শিগগিরই জবাব পাঠানো হবে অর্থ মন্ত্রণালয়ে। ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি