শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > জাতীয় > ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই স্যাটিসফাইড : মন্ত্রিপরিষদ সচিব

ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই স্যাটিসফাইড : মন্ত্রিপরিষদ সচিব

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে মোহাম্মদ শফিউল আলমের সোমবারই শেষ কর্মদিবস। চার বছর মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) থেকে ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের ‘বিকল্প নির্বাহী পরিচালক’ হিসেবে যোগ দিচ্ছেন তিনি।

অন্যদিকে নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে যোগ দিচ্ছেন সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। শেষ কর্মদিবসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে আসেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

শফিউল আলম বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে আমার শেষ সেশন ছিল তাই মন্ত্রিসভা আমাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে।’

তিনি বলেন, ‘আমি আজ ঠিক চার বছর পূর্ণ করলাম। ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর শুরু করেছি, ২৮ অক্টোবর শেষ করলাম। সবার দোয়ায় আমি আজ ওয়াশিংটন যাচ্ছি। আজই ইনশাআল্লাহ রওনা দেব রাতে। আপনাদের সাথে একসঙ্গে কাজ করেছি, খুব স্বাচ্ছন্দ্য ফিল করেছি আপনাদের সাথে কাজ করতে। আপনারা প্রাইভেট সেক্টরে কাজ করেন আমরা সরকারি কাজ করি এ রকম কখনও মনে হয়নি। আমরা একসঙ্গে একই কলিগের মতো কাজ করেছি। সবাই মিলে কাজ করেছি। আপনাদের যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছি আমরা।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এরপরও আমাদের পক্ষ থেকে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়ে থাকে, কোনো কিছুর ব্যত্যয় হয়ে থাকে, আপনারা নিজগুণে ক্ষমা করে দেবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন, আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। সবাই ভালো থাকবেন।’

চার বছরে ভালো ও খারাপ অভিজ্ঞতার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমাদের ক্যাবিনেটের অনেকগুলো অর্জন আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজে খুবই স্যাটিসফাইড। আপনারা বুঝতে পারেন কিনা জানি না। আমাদের অনেক বড় একটি পরিবর্তন হলো- আমরা দিনের কাজ দিনে শেষ করি। আজকে ক্যাবিনেট মিটিং আজকে প্রসিডিং সইটই হয়ে শেষ। অর্থাৎ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করে চূড়ান্ত। যদি বেশি বড় হয় তবে হয়তো রাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফাইল পাঠাই রাতেই তিনি সই করে দেন।’

‘শুধু ক্যাবিনেট মিটিং না, ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি, অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি, অন্যান্য যে মন্ত্রিসভা কমিটিগুলো আছে সবগুলোতে আমরা এই নিয়মটা অনুসরণ করি। সমন্বয় সভা ও বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে সভাসহ আমাদের নিজস্ব যে মিটিং আছে সেগুলো একইভাবে করি। হয়তো আমরা ১০টায় মিটিং করলাম, ১২/১টার দিকে আমরা রেজুলেশন শেষ করে দেই। এই চর্চা আমরা অব্যাহত রেখেছি। এটাতে আমরা নিজেরা স্যাটিসফাইড (সন্তুষ্ট) যে, কাজটা শেষ করে দিলাম। পেন্ডিং থাকল না।’

বিদায়ী মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আমাদের যত রকমের প্রোডাক্টস আছে যেমন- এপিএ (বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি), এনআইএস (জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল), সিটিজেন চার্টার, আরটিআই- এগুলোর ব্যাপারে আমরা ডকুমেন্টশন করেছি। সবগুলোর ব্যাপারে গাইডলাইন, গাইডবুক দেয়া আছে। কেউ যদি কোনো বিষয়ে বুঝতে চায়, তবে আমাদের গাইডলাইন অনুসরণ করলে সুবিধা হবে। সবকিছু ডকুমেন্টেড আছে, আমাদের ওয়েবসাইটেও দেয়া আছে।’

তিনি বলেন, ‘এনআইএস ও এপিএতে আমরা গ্রাসরুট পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। উপজেলা পর্যায়ে এপিএ হয়, এটাতে আমরা ভালো ফল পেয়েছি।’