শুক্রবার , ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ বাংলাদেশের

ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ বাংলাদেশের

শেয়ার করুন

কাঠমান্ডু (নেপাল) থেকে ॥ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে অনেক হিসাব-নিকাশ ছিল। ভারত হারলে সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারলে সেমিফাইনালে চলে যেতো বাংলাদেশ। দশরথে নেপাল ভারতকে হারিয়েও ছিল ২-১ গোলে। কিন্তু পারল না বাংলাদেশ। উল্টো ২-১ গোলে হরে লজ্জা নিয়েই দেশে ফিরলো। ভারতের সমান চার পয়েন্ট হওয়া স্বত্বেও হেডে টু হেডে পিছিয়ে থাকায় বিদায় নিলো পাকিস্তানও। টানা দ্বিতীয় বারের মতো গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলো বাংলাদেশ। দিল্লী সাফের মতো এবারও ঝুলিতে এক পয়েন্ট। আবারও আট দলে সাত কিংবা আট হওয়ার শঙ্কা।
হালচুক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টিমের ড্রেসিং রুমের পাশেই প্রেস বক্স। এখান থেকে পরিষ্কার শোনা যাচ্ছিল ক্রুইফের গেমপ্ল্যান। খেলোয়াড়দের উদ্দেশে কোচের শেষ কথা- ওই ম্যাচের রেজাল্ট যাইহোক শত ভাগ দিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ো। কোচের কথা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে দারুণ শুরু বাংলাদেশের। ম্যাচের প্রথম মিনিটে প্রায় গোল পেয়েই গিয়েছিল বাংলাদেশ। বামপ্রান্ত দিয়ে জাহিদের বাড়ানো বলে গোলরক্ষকে একা পেয়ে যান দেশ সেরা ফরোয়ার্ড এমিলি। কিন্তু তার দুর্বল শট দৌড়ে আসার এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে মাঠে বাইরে চলে যায়। ২৯ মিনিটে এ ক্ষতিপূরণ করে দেন এমিলি। রায়হান হাসানের লং থ্রো থেকে বক্সে দাঁড়ানো এমিলি ব্যাক হেডে বল জলে পাঠান (১-০)। কিন্তু ৩৫ মিনিটে আদনান ফারুকে কর্নার থেকে সামির ইসহাকের হেড সমতায় ফেরায় পাকিস্তানকে (১-১)। বিরতির পর গোল পেতে মরিয়া হয়ে উঠে বাংলাদেশের ফুটবলাররা। ম্যাচের ৫১ মিনিটে একটা ভাল সুযোগও পেয়ে যায়। কিন্তু সোহেলের কর্নার থেকে এমিলির শট পাকিস্তানের গোলরক্ষক সাকিব হানিফ খুব সহজেই রুখে দেয়। ৬৮ মিনিটে মোবারকের ফ্রি কিক ওয়াহেদের হেড মাঠে বাইরে চলে যায়। এরপর শুরু পাকিস্তানের। একের পর এক আক্রমণে দিশাহারা বাংলাদেশ শিবির। মাঝে-মধ্যে অবশ্য মাঝমাঠে জামাল ভূঁইয়া ও বাবুর কল্যাণে দু’-একটি সুযোগ এসে। তাও নষ্ট করেন ওয়াহেদ ও তকলিস। এরমাঝে নেপাল ২-০ গোলের লিড নিলে সম্ভাবনা জোরালো হয় বাংলাদেশের। জিতলেই সেমিফাইনালে বাংলাদেশ। এই খবরে উজ্জীবিত হয় হালচুক স্টেডিয়ামের প্রেসবক্স। কিন্তু যা মোটেও লক্ষ্য করা যায়নি বাংলাদেশের ফুটবলারদের মধ্যে। একটি সুযোগও তৈরি করতে পারেননি ওয়াহেদ, তকলিসরা। শেষ চেষ্টা হিসেবে মামুনুলকে মাঠে নামান কোচ ক্রুইফ। মামুনুলও চেষ্টা করেন। নেমেই তার ত্রিশ গজ বাইরের শট রুখে দেন পাকিস্তানের গোলরক্ষক। এরপর আর কোন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশের ফুটবলাররা। উল্টো অতিরিক্ত সময়ে গোল হজম করে ক্রুইফের শিষ্যরা। খেলা শেষ হওয়ার অন্তিম মুহূর্তে গোল করেন পাকিস্তানের কলিমউল্লাহ। হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। গত সাফে এই পাকিস্তানের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছিল মামুনুল বাহিনী।
নেপালের কাছে ২-০ হারে সাফ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় টিম বাংলাদেশ। ইনজুরি টাইমের গোল জয় বঞ্চিত হয় মামুনুলরা। পাকিস্তান ম্যাচে আশা ছিল অন্তত জয়ের সান্ত্ব্তনা নিয়ে দেশে ফিরবে বাংলাদেশ। সেটা না হওয়ায় এজন্য ১৬ কোটি মানুষের কাছে ক্ষমা চাই আমি।
বাংলাদেশ দল: মামুন খান (গোলরক্ষক) আরিফ, মিশু, লিংকন, রায়হান, জামাল ভূঁইয়া, বাবু (মামুন), সোহেল রানা (মোবারক), মোবারক, জাহিদ (তকলিস) এমিলি।