শুক্রবার , ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > রাজনীতি > ভোলা-বরিশাল সেতু অবশ্যই নির্মাণ করব: তোফায়েল

ভোলা-বরিশাল সেতু অবশ্যই নির্মাণ করব: তোফায়েল

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
নিরঙ্কুশ বিজয় লাভের পর ভোলা-১ আসনে বিজয়ী বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ভোলার মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তাদের জন্য কাজ করে ঋণের বোঝা কিছুটা লাঘব করব। ভোলাবাসীর স্বপ্ন ভোলা-বরিশাল সেতু অবশ্যই নির্মাণ করব।

সোমবার সকালে ভোলার নিজ বাসভবনে প্রেসক্লাব থেকে ফুলের শুভেচ্ছা জানানোর পর সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা জানান তোফায়েল আহমেদ। এ সময় মদনমোহন মন্দির কমিটির পক্ষ থেকেও হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা ফুলের শুভেচ্ছা জানান।

মন্ত্রী বলেন, এ বিজয় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বিজয়। এ বিজয় শেখ হাসিনার উন্নয়নের বিজয়। এ বিজয় বিএনপির সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনতার বিজয়। এ বিজয়ের ফলে বাংলাদেশ উন্নয়নে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, ওদের ক্ষমতার আমলে যে অত্যাচার নির্যাতন করেছে, সেসব দিনগুলোর কথা মানুষ ভুলতে পারেনি। মানুষ ব্যালটের মাধ্যমে এর জবাব দিয়েছে। নীতিহীন আদর্শহীন ড. কামাল হোসেনকে ওরা নেতা বানিয়েছেন। এটাও মানুষ মেনে নেয়নি।

এবারের নির্বাচনে জনতার উৎসব হয়েছে উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্বাধীনতার পর এমন ভোট উৎসব আর দেখা যায়নি। শীত উপেক্ষা করে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত থেকে ভোট দেন। বিকাল নগাদ ভোটারের লাইন ছিল। বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

সব দলের অংশগ্রহণের এ নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হলেও বিএনপির কেউ কেউ এর বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। যারা ১০ বছর এলাকায় আসেননি। এরা মানুষের কাছেও গিয়ে ভোট চাইতে যাননি। তারা ভোটের আশা কীভাবে করেন। মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এবার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় ৭০ এর মতোই হয়েছে। আগের রাতে তার বাড়ির সামনে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বেসরকারি ফলাফল নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা এলে তা মাইকে জানানো হয়। সবশেষ ফলাফল ঘোষণার পর ওই মঞ্চে দাঁড়িয়ে দেশবাসী ও ভোলাবাসীকে শুভেচ্ছা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

এদিকে সব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি দোস্তমাহামুদ, উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, জেলা অঅওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জরুল ইসলাম নকিব, জেলা অওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক আরজু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর দুরাল চন্দ্র ঘোষ, মদনমোহন মন্দির কমিটির সম্পাদক বিপ্লবপাল কানাইসহ স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।