শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > আন্তর্জাতিক > ভ্যাটিকান সিটিতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত

ভ্যাটিকান সিটিতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
রোমান ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের তীর্থভূমি ভ্যাটিকান সিটিতে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করা গেছে। বৃহস্পতিবার ওই রোগীকে শনাক্ত করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির মুখপাত্র ম্যাটিও ব্রুনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এ তথ্য জানিয়েছে।

চীনের বাইরে ইতালিতে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ৬৩৬। ১৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিন হাজার ৯১৬ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ৫২৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এরই মধ্যে ভ্যাটিকানে প্রথম এই ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেল।

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন বলছে, ১০৮ একরের ক্ষুদ্র রাষ্ট্র ভ্যাটিকান সিটির যেসব কর্মচারীরা স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে থাকেন তার বেশিরভাগই ইতালির নাগরিক। তবে আকান্ত ব্যক্তি ইতালিয়ান নাগরিক, না ভ্যাটিকানের ধর্মযাজক বা নিরাপত্তারক্ষী তা নিশ্চিত করেননি ব্রুনি।

এদিকে এক সপ্তাহ ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ভোগার পর করোনাভাইরাস পরীক্ষায় করিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। এতে ফলাফল নেগেটিভ এসেছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

দেশটির আরেক কর্মকর্তাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডেইলি মেইল। এছাড়া করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় দেশটির অ্যাপোস্টলিক লাইব্রেরি (ভ্যাটিকান লাইব্রেরি বলে বেশি পরিচিত) বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

ক্রমেই বেড়ে চলে চলেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ও নিহতের সংখ্যা। চীন থেকে ছড়ানো এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ৯১৪ জন। আর প্রাণহানি ঘটেছে তিন হাজার ৪৬৬ জনের।

আক্রান্তদের মধ্যে ৫৬ হাজার ১২৩ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখনো চিকিৎসাধীন আছেন ৪২ হাজার ৩২৫ জন। এর মধ্যে ছয় হাজার ৪০১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বিশ্বের ৯৪টি অঞ্চল এবং দেশে ছড়িয়েছে এ ভাইরাস। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে শুধুমাত্র চীনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৫৭৬ জন। যার মধ্যে তিন হাজার ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৫৩ হাজার ৯২৯ জন। আর বাকি ২৩ হাজার ৬০৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন।

চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ছয় হাজার ৫৯৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩৫ জন সুস্থ হয়েছেন আর বাকি ছয় হাজার ৪১৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ইরানে এখন পর্যন্ত চার হাজার ৭৪৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণহানি ঘটেছে ১২৪ জনের। তিন হাজার ৭১০ জন চিকিৎসাধীন আছেন। বাকি ৯১৩ জন সুস্থ হয়েছেন।