শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > সারাদেশ > মাগুরার শ্রীপুরে কলেজ শিক্ষককে ঠিকাদারের হাতুড়ি পেটা

মাগুরার শ্রীপুরে কলেজ শিক্ষককে ঠিকাদারের হাতুড়ি পেটা

শেয়ার করুন

ইমরুল হক
জেলা প্রতিনিধি ॥
মাগুরা: নির্মাণকাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের প্রতিবাদ করায় মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বঙ্গবন্ধু কলেজের শিক্ষক সাজাহান আলিকে হাতুড়িপেটা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তিনি ওই কলেজের নির্মাণ কাজের তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক।

প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, বিকাল ৪ টার দিকে শ্রীপুর বঙ্গবন্ধু কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সাজাহান আলি লাঙ্গলবাঁধ বাজার থেকে নিজ বাড়ি করুন্দিতে যাচ্ছিলেন।

পথে চাকদার ব্রিজের কাছে পৌঁছলে কলেজের নির্মাণ কাজের ঠিকাদার মানিক বিশ্বাসসহ বেশ কয়েকজন তার মটর সাইকেল থামিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লাঙ্গলবাঁধ মা ক্লিনিকে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে শ্রীপুর বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মাগুরা জেলা পরিষদ থেকে কলেজের উন্নয়ন কাজের জন্যে কিছু টাকা পাওয়া যায়। সেই টাকায় কলেজের একটি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। যে কাজটির ঠিকাদারি দায়িত্ব পান শ্রীপুর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের মানিক বিশ্বাস। কিন্তু ঠিকাদার নির্মাণকাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করায় কাজের তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক সাজাহান আলির প্রতিবাদ করেন।

এতে ঠিকাদারের ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন শিক্ষক সাজাহানের উপর হাত তোলেন। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাসে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা কলেজ শিক্ষককে মারতে দেখে জাহাঙ্গীরের উপর চড়াও হয়। ঘটনাটি মাস খানেক আগের।

ওই ঘটনাটি স্থানীয় এমপি এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে জানানো হলে তারা উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টির মিমাংসা করে দেন। কিন্তু রবিবার ঠিকাদার মানিক লোকবল নিয়ে আমার কলেজের শিক্ষককে হাতুড়ি দিয়ে বেদড়ক মারপিট করেছে। শুধু তাই নয় তিনি ব্যাংক থেকে দেড় লক্ষ টাকা উত্তোলন করে বাড়ি ফিরছিলেন তারা ওই টাকাগুলোও কেড়ে নিয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ঠিকাদার মানিক বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, এর আগে ঠিকাদারকে মারছিল। তাই আজ ঠিকাদার কয়েকজনকে নিয়ে শিক্ষককে মেরে দিয়েছে।

তবে দেড় লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঠিক নয়। ওই শিক্ষক টাকা পাবে কোথায়, সে পায়ে হাটে চলে। তার কাছে দু-এক টাকা থাকতে পারে। তবে যাই হোক এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নিয়ে ফেলবো বলে তিনি উল্লেখ করেন।