শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > জাতীয় > মাঠ দখলে জেলায় সংগঠিত হচ্ছে বিএনপি

মাঠ দখলে জেলায় সংগঠিত হচ্ছে বিএনপি

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধান বিরোধীদল বিএনপি আবারও জেলায় জেলায় সংগঠিত হওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে কঠোর আন্দোলনের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামার জন্যই সারাদেশে সাংগঠনিক সফরে যাবেন দলের সিনিয়র নেতারা। ইতিমধ্যে ৩০ টিমের একটি খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
বিএনপির এ সাংগঠনিক সফর চূড়ান্ত করা এবং দিকনির্দেশা দেবেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম-মহাসচিবদেরকে টিম প্রধানের দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আগামী ১৯ অক্টোবর বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে টিম প্রধানদের সঙ্গে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সে অনুযায়ী টিম লিডারদের জানানোও হয়েছে।
এর আগেও তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে ১৭ জুন থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত সাংগঠনিক কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী সারাদেশে বিএনপির ৭৫টি ইউনিট সভাপতি বরাবর একটি চিঠিও পাঠানো হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিটি নির্বাচনে জন্য সে কর্মসূচি স্থগিত করে বিএনপির সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেন বিএনপি নেতারা।
জানা গেছে, পাঁচ সিটি নির্বাচনের পর নেতাকর্মীরা অনেক চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। তাই সাংগঠনিকভাবে আরো শক্তিশালী হওয়ার জন্যই জেলা সফর। সেখান থেকে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জনসমর্থন আদায়েও গণসংযোগ করা হবে। এছাড়া স্থানীয় নেতাকর্মীদের দ্বন্দ্ব ও কোন্দল মেটাতেও কাজ করবে এ টিমগুলো।
দলের এক শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ‘জাতীয় নির্বচানের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। নির্দলীয় সরকার নিয়ে সরকার টালবাহানা করছে। যে কারণে দাবি আদায়ে আমাদেরকে রাজপথে নামার আন্দোলনের কর্মসূচি হাতে নিতে হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আমাদের এ জেলা সফর।’
তিনি বলেন, ‘আগে থেকেই কিছু বলা যাবে না, সময় হলেই সব জানা যাবে। তবে জেলা সফরে সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গেও মতবিনিময় করা হবে। এছাড়া সরকারের ব্যর্থতার চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে।’
বিএনপি নেতাদের দাবি, বর্তমান সরকার তাদের অধীনে নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে। এ জন্য দাবি আদায়ে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। কেউ কেউ আবার অভিযোগ করেছেন, সরকার বিভিন্ন ইস্যু সৃষ্টি করে এ বিষয়ে কালক্ষেপন করছে।
জেলা সফরের সত্যতা স্বীকার করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ের রাজনৈতিকভাবে আন্দোলেনে নামার জন্য সারাদেশের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত করা এ সফরের উদ্দেশ্য।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে, সেখানে ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) দিকনির্দেশনা দেবেন। কমিটির কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে বলবেন সেই অনুযায়ীই আমরা কাজ করবো।’
তবে কবে থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে এ ব্যাপারে কিছুই বলেননি তিনি।
এদিকে বিএনপির আগামী নির্বচানে প্রার্থীদের প্রস্তুতির ব্যাপারে কোনো ধরনের ঘোষণা না দিলেও বিভিন্ন সংসদীয় আসনে একাধিক প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। রমজানে ইফতার পার্টি, ব্যানার, পোস্টার ও গণসংযোগ করেছেন অনেকেই।
তবে দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এখনই হাঁকডাক দিয়ে নির্বচনের প্রস্তুতি নয়, আগে নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য আন্দোলনে সংগঠিত হতে হবে। তারপর নির্বচানের প্রস্তুতি।
উল্লেখ্য, মহাজোট সরকারের আমলে বিএনপি স্থানীয় এবং জাতীয় নির্বাচন বয়কট করে এলেও সরকারের শেষ সময়ে এসে সিটি নির্বাচনে অংশ নেয় দলটি। মূলত সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে জনমত সৃষ্টির জন্য কাজ করেতে গিয়ে সুফল পাওয়ায় সারাদেশে গণসংযোগের মাধ্যমে জনমত আদায়ের পরিকল্পনারই একটি অংশ জেলা সফর।