মঙ্গলবার , ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ , ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ , ৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > শিক্ষাঙ্গন > মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাবে শিক্ষার্থীরা বিদেশে যাচ্ছে

মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাবে শিক্ষার্থীরা বিদেশে যাচ্ছে

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
শিক্ষা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার জরিপে বলছে, স্কুল পর্যায়ে ১০ লাখ শিক্ষার্থী দেশের বাইরে পড়াশোনা করছে। আর উচ্চ শিক্ষায় বছরে ৬০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী বিদেশে যাচ্ছে। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেছেন, অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় যারা তৃতীয় ক্যাটাগরিতে, যাদের প্রধান কাজই হচ্ছে সার্টিফিকেট বিক্রি করা। আর মানসম্মত প্রতিষ্ঠান অপর্যাপ্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার সংখ্যা বাড়ছে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

উচ্চ শিক্ষার জন্য পড়তে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি,কানাডা ও ভারত।

দেশে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল আছে ৩’শর মতো। আর বেসরকারি স্কুল কলেজ আছে ৩৬ হাজার। এর বাইরে আছে সরকারি স্কুল কলেজ। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে শতাধিক। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অর্ধেক আসন প্রতি বছরই খালি থাকে।

অথচ প্রতিবছর স্কুল পর্যায়ে গড়ে ২০ হাজার শিক্ষার্থী দেশের বাইরে পড়তে যাচ্ছে। আর উচ্চ শিক্ষার জন্য যাচ্ছে গড়ে ৬০ হাজার শিক্ষার্থী। এর ফলে একদিকে দেশের অর্থ অন্যদেশে চলে যাচ্ছে। আর পড়াশোনা করে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই দেশে ফিরছে না। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মতে বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মানসম্মত পড়াশোনা নিশ্চিত করতে না পারার কারণেই এই অবস্থা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেছেন, অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় যারা তৃতীয় ক্যাটাগরিতে, যাদের প্রধান কাজই হচ্ছে সার্টিফিকেট বিক্রি করা। তবে এই সার্টিফিকেট কেনার পরে বাইরের বাজারে কোনো কাজে লাগে না।

স্কুল পর্যায়ে বিদেশে পড়তে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে আবাসিক সুবিধা সম্মিলিত ইংরেজি মাধ্যম স্কুল না থাকা। এছাড়া সামর্থ্য অনুযায়ী অনেকেই বিদেশি কারিকুলামে সরাসরি পড়তে চায়। ভাল বিদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শাখা ক্যাম্পাস দেশে চালু হলে বিদেশ যাওয়ার সংখ্যা অনেকটাই কমবে।

ইংরেজি মাধ্যম স্কুল সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জি এম নিজাম উদ্দিন বলেছেন, আন্তর্জাতিক মানের বড় বড় কিছু শাখা যদি বাংলাদেশে থাকতো তাহলে বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য যাওয়ার যে প্রবণতা তা হয় তো থাকতো না।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা না বাড়িয়ে মনিটরিং এর মাধ্যমে এক মানে নিয়ে আসতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেছেন, এই বিদ্যা অর্জন করে, এই প্রশিক্ষণ অর্জন করে তারা যদি দেশের কাজে লাগে তাহলে বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য যাওয়া তাহলে ভালো। তবে উচ্চ শিক্ষার অর্জন করে যদি তারা বিদেশেই থেকে যায় তাহলে তো আর দেশের কাজে লাগলো না। সূত্র : ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন