শুক্রবার , ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > আন্তর্জাতিক > মালয়েশিয়ায় স্মরণকালের বড় মাহফিলে আজহারী, প্রবাসীদের সামাল দিতে হিমশিম

মালয়েশিয়ায় স্মরণকালের বড় মাহফিলে আজহারী, প্রবাসীদের সামাল দিতে হিমশিম

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
মালয়েশিয়ার ইতিহাসের স্মরণকালের সবচেয়ে বড় তাফসির মাহফিলে বয়ান করলেন বর্তমান সময়ের আলোচিত ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী।

রোববার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় রাজধানী কুয়ালালামপুর আমপাং পার্কের উইসমা এমসিএ কনভেনশন সেন্টারে এ তাফসির মাহফিল হয়।

মালয়েশিয়া প্রবাসী কমিউনিটি এ মাহফিলের আয়োজন করে বলে জানা গেছে।

এদিন আজহারীর মাহফিলে প্রবাসীদের ঢল নামে। মাহফিলে আগত প্রবাসীদের সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় আয়োজকদের। ভিড় সামাল দিতে পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীরাও কাজে করেন।

জানা গেছে, বিকাল ৪টায় থেকে মাহফিলের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ১০টা থেকে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে থেকে হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি এসে হলে জমায়েত হন।

বিকাল নাগাদ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় পুরো হল কক্ষ। হলে ঢুকতে না পেরে অনেকেই মিজানুর রহমান আজহারীকে একনজর দেখার অপেক্ষায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন।

মাগরিবের নামাজ শেষে তাফসির পেশ করেন মিজানুর রহমান আজহারী।

মাহফিলে আজহারী সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কোরআন সুন্নাহর পতাকাতলে আসার আহ্বান জানান। পরে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

আয়োজদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘জায়গা সংকুলান না থাকায় দ্বিগুণ প্রবাসী চলে গেছে। আগামীতে আমরা আরো বড় পরিসরে প্রোগ্রাম করার চেষ্টা করব।

তবে মালয়েশিয়ার ইতিহাসে এটাই প্রবাসীদের স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ওয়াজ মাহফিল বলে মনে করেন তারা।

প্রসঙ্গত চলতি বছরের বছরের মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে সব তাফসির কর্মসূচি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়ে গবেষণার কাজে মালয়েশিয়ায় চলে যান আজহারী।

গত ২৯ জানুয়ারি তার ফেসবুক পেজে এক পোস্টে আজহারী লেখেন, ‘পারিপার্শ্বিক কিছু কারণে এখানেই এবছরের তাফসির প্রোগামের ইতি টানতে হচ্ছে। তাই, মার্চ পর্যন্ত আমার বাকি প্রোগ্রামগুলো স্থগিত করা হল। রিসার্চের কাজে আবারও মালয়েশিয়া ফিরে যাচ্ছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সুযোগ করে দিলে আবারও দেখা হবে ও কথা হবে ইনশাআল্লাহ।’

এরপর থেকে তিনি আর কোনো ওয়াজ মাহফিলে যাননি। আজহারী মালয়েশিয়া চলে যাওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর তাকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।