বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ মিশরে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুরসির সমর্থকরা সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেছে। জুমার নামাজের পর গতকাল মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকরা কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সারা দেশে সামরিক বাহিনী সমর্থিত অন্তর্র্বতী সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। নসর সিটি এবং রাজধানী কায়রোর মোহানদিসিনের পাশাপাশি গিজা এবং নীল উপত্যকার বেশ কযেকটি এলাকায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হযেছে বলে আল-জাজিরা জানিয়েছে। মিশরের সরকারি বার্তা সংস্থা মেনা জানিয়েছে, রাবা আল আদাবিয়া মসজিদ অভিমুখী সবগুলো রাস্তাই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বন্ধ করে দিয়েছিল। গত ১৪ই আগস্ট সেখান থেকেই মুরসি সমর্থকদের জোর করে তুলে দেয়া হয়েছিল। কায়রোর তাহরির স্কয়ার, রামসেস স্কয়ার এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখী সবগুলো রাস্তাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। বিক্ষোভ সমাবেশের প্রাক্কালে দাঙ্গা পুলিশ আলেকজান্দ্রিয়া শহরের কাইদ ইব্রাহিম মসজিদ এবং পূর্ব কায়রোর আল ইমাম মসজিদ অভিমুখী রাস্তাগুলোতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছিল। ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পর তারা এখনও কতটা সক্রিয় রয়েছেন, সেটা পরীক্ষা করতেই মূলত শুক্রবারে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনী ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেছে, নতুন করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতেই তারা শুক্রবারে বিক্ষোভ করেছে। এদিকে মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখা ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এল-বেলতাগির গ্রেপ্তারের খবরে সেখানে ফের উত্তেজনা বাড়ছে। বৃহস্পতিবার রাতে বেলতাগিকে গ্রেপ্তার করায় শুক্রবারের বিক্ষোভে ফের সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল। ব্রাদারহুডের বিক্ষোভ সমাবেশে সহিংসতার ঘটনায় গত ১০ই জুলাই বেলতাগির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এ পরোয়ানার মধ্যেই কায়রোর রাবা আল-আদইয়া ক্যাম্পে মুরসি সমর্থকদের সমাবেশে উপস্থিত হয়েছিলেন বেলতাগি। উল্লেখ্য, গত ঈদুল ফিতরের পর মুরসি সমর্থকদের রাজপথ থেকে হটিয়ে দিতে সেনাবাহিনীর অভিযানে কয়েক শ’ মানুষ নিহত হয়। এদের মধ্যে বেলতাগির ১৭ বছর বয়সী কন্যা আসমাও ছিল।