বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৪ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৭ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > মুফতি ইজহারুলের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল আজ

মুফতি ইজহারুলের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল আজ

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সম্পদের হিসাব দাখিল না করার অভিযোগে হেফাজত ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি মো. ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার চার্জশীট আগামীকাল রোববার আদালতে দাখিল করা হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই চার্জশীট দাখিল করবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক এইচ এম আখতারুজ্জামান।

তিনি বলেন, মুফতি ইজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে সম্পদের হিসাব দাখিল না করার অভিযোগে করা মামলার তদন্ত কাজ শেষ হওয়ার পর, চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জমা দেই। পরে যাচাই-বাছাই শেষে গত ৮ এপ্রিল চার্জশিট দাখিলের জন্য অনুমোদন দেয় কমিশন। অনুমোদন আগে দিলেও তা আমার হাতে আসতে আসতে অনেক দেরি হওয়ায় আগামীকাল রোববার আদালতে এ চার্জশীট দাখিল করা হবে।

তিনি আরও বলেন, মুফতি ইজহারুলের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আসে। তা প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে প্রমাণিত হওয়ায় গত বছরের ৪ জুলাই তার সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি নোটিশটি গ্রহণ না করে তা ফেরত পাঠান। এরপর তিনি আর সম্পদের হিসাবও দাখিল করেননি।

তাই দুদক আইন-২৬ (২) ধারায় সম্পদের হিসাব দাখিল না করার অভিযোগে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানায় একটি মামলা করা হয় বলে জানান তিনি।

দুদক সুত্র জানায়, প্রয়াত বিজ্ঞানী ড. জামাল নজরুল ইসলাম ও তার ভাই চট্টগ্রামের লালখান বাজার এলাকার মোট ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ জমি মাদ্রাসার নামে দান করেন। দানকৃত ওই জমির মধ্য থেকে শূন্য দশমিক ৯৬১২ শতাংশ জমি মাদ্রাসার নামে নামজারি (রেকর্ডভুক্ত) করা হয়। ওই জমির মধ্য থেকে শূণ্য দশমিক ১৩৩৩ শতাংশ বা ৮ কাঠা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণের কথা থাকলেও, তার নির্মাণকাজ শুরু না করে তা দখল করেন মুফতি ইজহারুল।

তিনি দেশি-বিদেশি বহু দানশীল ব্যক্তির কাছ থেকে মাদ্রাসার নামে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করেন, কিন্তু সংগৃহিত এই অর্থ মাদ্রাসার কাজে ব্যবহার না করে আত্মসাত করেন এবং ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। আর এসব আয়-ব্যয় সংক্রান্ত হিসাব সংরক্ষণ করতে কোনো রেজিস্ট্রার বা রেকর্ডপত্রও ব্যবহার করেননি তিনি।

বর্তমানে মাদ্রাসার নামে মোট ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ জমি তার অবৈধ দখলে রয়েছে। আর এসবের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয় বর্হিভূত অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয়।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মাদ্রাসাটিকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করারও অভিযোগ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, মুফতি মো. ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরী চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজারে অবস্থিত আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল।

তিনি মুফতি মো. ফজলুল হক আমিনীর সঙ্গে ইসলামী ঐক্যজোটে যুক্ত ছিলেন। পরে ফজলুল হক আমিনীর নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোট থেকে বের হয়ে নিজে আলাদা ইসলামী ঐক্যজোট গঠন করেন। এখন তিনি হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমিরের দায়িত্বে আছেন। তিনি বর্তমানে তার মাদ্রসায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় করা মামলায় জেলে আছেন।