শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > খেলা > মেদ কমিয়ে ছুটিতে ক্রিকেটাররা

মেদ কমিয়ে ছুটিতে ক্রিকেটাররা

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥ ট্রেনিং ক্যাম্পের কথা উঠতেই স্পিনার ইলিয়াস সানি বলে উঠলেন, ‘এত দিন যত মেদ জমেছিল সব বের হয়ে গেছে। এত পরিশ্রম করতে হয়েছে যে কি বলবো! তবে এই ক্যাম্প আমাদের জন্য বেশ উপকারই করেছে।’ ট্রেনিং ক্যাম্প প্রায় সব ক্রিকেটারের জন্য রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং হলেও নিজেদের উপকারটার বেশ ভালই অনুভব করতে পারছেন ক্রিকেটারা। ফিটনেস ক্যাম্পের দ্বিতীয় ধাপের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে রোববার। গত মাসে শুরু হওয়া ক্যাম্পের তৃতীয় ধাপ আবার শুরু হবে ১৪ই জুলাই। এর আগে ১৩ই জুলাই পর্যন্ত লম্বা ছুটি। জিম্বাবুয়ে সফর শেষে জাতীয় দলের কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই অক্টোবর পর্যন্ত। এই ফাঁকা সময়টাতে ক্যাম্পের মধ্যেই ৩০ ক্রিকেটার তাদের ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে জাতীয় দলের নিয়মিত ক্রিকেটার ছাড়াও এই টেনিং ক্যাম্পের সুবিধা নিচ্ছেন তরুণ ও জাতীয় দলে অনিয়মিত ক্রিকেটারও। তরুণ এনামুল হক বিজয় পরীক্ষার কারণে শ্রীলঙ্কা সফরের পর আর জাতীয় দলে খেলতে পারেননি। তবে এই ক্যাম্পে নিজের ফিটনেসটা ফিরে পাওয়ার একটি সুযোগ তিনি বেশ ভালভাবেই কাজে লাগিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য এ ক্যাম্প দারুণ একটি সুযোগ। এটা আমাদের অনেক উপকার করছে। বিশেষ করে নিজের ফিটনেসটা খুব ভালভাবে ঝালাই করে নিতে পেরেছি।’ জাতীয় দলের এই ক্যাম্প ৬ দিন পর শুরু হয়ে চলবে ১৯ই জুলাই পর্যন্ত।
এ পর্যন্ত ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ৩০ জন ক্রিকেটারের মধ্যে সাকিব আল হাসান ছাড়া বাকি সবাই ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। সকিব আল হাসান বর্তমানে কাউন্টি খেলতে রয়েছে ইংল্যান্ডে। এই ক্যাম্পে উপকারিতা নিয়ে গতকাল তরুণ ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয় জানালেন এই ক্যাম্পের মাধ্যমে তিনি খুব লাভবান। এনামুল হক বলেন, ‘আমি যখন বয়স ভিত্তিক অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছি তখন এ রকম ক্যাম্প পায়নি। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে থাকতে অনেকটা এ রকমের ক্যাম্প পেয়েছি। কিন্তু সেটা অনুষ্ঠিত হতো গ্যাপে গ্যাপে। এ ক্যাম্পিংটা হচ্ছে একটানা। তাই আমার জন্য এটাকে একটু আলাদা মনে হচ্ছে। একটু বেশি স্পেশাল।’ কি ধরনের ক্যাম্পিং হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এইতো কিভাবে ইনজুরি থেকে দূরে থাকা যায়। ফিটনেস ঠিক রাখা যায়- এসব নিয়ে। বিশেষ করে ক্রিকেটারদের ইনজুরি থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখার যে কৌশল তা আমাদের বেশ কাজে দেবে।’
অন্যদিকে কিছুদিন আগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন। পরীক্ষার কারণে শ্রীলঙ্কা সফরের শেষ দিকে দেশে ফেরেন এনামুল। জিম্বাবুয়ে সফরেও একই কারণে খেলা হয়নি এনামুলের। তবে পরীক্ষার মধ্যেই তিনি যতটা সম্ভব অনুশীলন করেছেন। উচ্চতর ডিগ্রি নেয়ার আশাও আছে এনামুলের। এনামুল বলেন, ‘পরীক্ষার সময় আমি একেবারেই অনুশীলন করিনি এমনটা নয়। ফাঁকে ফাঁকে সময় করে চেষ্টা করেছি। আর এখন এ ক্যাম্প পেয়ে আমাদের সুবিধাটাই হয়েছে।’ তবে বাংলাদেশের অন্য ক্রিকেটাররা এ থেকে কতটুকু উপকার পাবেন? এ সম্পর্কে এনামুল বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই আমাদের ক্রিকেটাররা ঘনঘন ইনজুরিতে পড়ছেন। শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েও অনেকে ইনজুরির শিকার হয়েছেন। এই ক্যাম্পের মাধ্যমে নিজেদের ফিটনেস ঠিক আছে কি না তা বোঝা যাবে। তাছাড়া ছোটখাটো ইনজুরি থাকলে এর মধ্যেই সেটা ধরা পড়ে যাবে।’
তবে বিজয় মনে করেন ইনজুরি থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখার কৌশলগুলো ক্রিকেটের এজ গ্রুপের প্রত্যেকটি লেভেলেই বেশি করে হওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের ট্রেনিং সব লেভেলেই কম বেশি হয়। কিন্তু আমার মনে হয় আরওিে বশ করে এখন আমরা যেভাবে করছি তা সবারই করা সবার জন্যই করা উচিত। খেলতে গেলে ইনজুরি হবে না এটা কেউ বলতে পারবে না। কিন্তু জানা থাকলে কম হবে। তাই কিশোর ক্রিকেটারদের জন্য এমন ট্রেনিংটা জোড় দিয়ে করা উচিত।’