শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > খেলা > মেসি নেই, কোনোমতে জয় আর্জেন্টিনার

মেসি নেই, কোনোমতে জয় আর্জেন্টিনার

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥
তাহলে কি আর্জেন্টিনা দলের একমাত্র সমস্যা মেসি? তিনি থাকলে দলের কম্বিনেশন ঠিক রাখতে পারেন না কোচ! নাকি অন্যরা সবাই অন্যরকম একটা চাপে ভোগে। যে কারণে জিততে পারে না আর্জেন্টিনা! আগের ম্যাচে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে অন্তত সেটাই প্রমাণ হয়েছে। আর্জেন্টিনা হেরেছিল ৩-১ গোলে।

এবার মেসি নেই। চোটের কারণেই মূলতঃ খেলতে পারেননি তিনি। বার্সার এই বিশ্বসেরা তারকা না থাকাতেই যেন জয়ে ফিরলো লা আলবিসেলেস্তেরা। যদিও জয়টা ছিল খুবই কষ্টার্জিত। মাত্র ১-০ গোলের ব্যবধানে স্বাগতিক মরক্কোকে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। গোল করেছেন অ্যাঞ্জেল কোরিয়া।

অথচ ম্যাচের চিত্র কিন্তু ভিন্ন কথাই বলছে। বল দখলের লড়াইয়ে আর্জেন্টিনার চেয়ে ঢের এগিয়ে ছিল মরক্কো। ৫৭ ভাগের তুলনায় ৪৩ ভাগ। প্রীতি ম্যাচ হলেও এখানে দু’দলের মধ্যে ফাউলই হয়েছে বেশি। পুরো ম্যাচে সব মিলিয়ে ৪৯ বার ফাউলের বাঁশি বাজাতে হয়েছে রেফারিকে। যে কারণে রেফারিকে ৬ বার হলুদ কার্ড বের করতে হয়েছিল পকেট থেকে। মরক্কোর ৪ জন ফুটবলার দেখেছেন হলুদ কার্ড।

এমন অসহিষ্ণু ম্যাচে কিন্তু গোলের দেখাই পাচ্ছিল না কোনো দল। প্রথমার্থ কেটে গেছে গোলহীন। দ্বিতীয়ার্ধও প্রায় কেটে যাচ্ছিল। একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে গোলটি করলেন অ্যাঞ্জেল কোরিয়া। ম্যাচের বয়স তখন ৮৩ মিনিট। এ সময় মাতিয়াস সুয়ারেজের বাড়ানো বল থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে মরক্কোর জালে বল জড়ান কোরিয়া। শেষ পর্যন্ত অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।

মেসি না থাকাতে অবশ্য আর্জেন্টিনাকে ঠিক আর্জেন্টিনার মত মনে হয়নি। যে কারণে স্বাগতিক মরক্কো এতটা চড়াও হয়ে খেলতে পেরেছিল আর্জেন্টিনার ওপর। বল দখলে সব সময়ই এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। যে কারণে, আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের অধিক পরিমাণে ফাউল করতে দেখা গেছে।

পরিসংখ্যানেই দেখা যাচ্ছে, আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা ফাউল করেছে মোট ২৭ বার। আর মরক্কোর খেলোয়াড়রা ফাউল করেছে ২২বার। আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা অফসাইড হয়েছে ৪ বার আর মরক্কোর একবারও নেই। কর্নার কিক আর্জেন্টিনা পেয়েছে ৫টি, মরক্কো ৪টি। আর্জেন্টিনা গোলে শর্ট নিয়েছে ১৩ বার এবং মরক্কো নিয়েছে ১২ বার। অন টার্গেট শট দু’দলেরই সমান ২বার করে। আর্জেন্টিনার গোলরক্ষককে বল সেভ করতে হয়েছে ২টি এবং মরক্কোর গোলরক্ষককে সেভ করতে হয়েছে ১টি।