বিনোদন ডেস্ক ॥
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণার পর সভাপতি পদপ্রার্থী ওমর সানী আপিল বোর্ডের কাছে ভোটের ফলাফল বাতিলের আবেদন জানান। গত মঙ্গলবার ছিল নতুন করে ভোট গণনার দিন। নতুন ফলাফল জানার জন্য ওইদিনই সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনার ও আপিল বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে সেখানে সে সময় উপস্থিত হন চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় দম্পতি এবং এবারের নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী ওমর সানী ও কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য মৌসুমী। ভোট গণনার পর ওমর সানীর পক্ষে ৯ ভোট বাড়ে। তবে ফলাফল অপরিবর্তিত থাকে। তখন গণমাধ্যমের সঙ্গে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেরিয়ে আসার পর সহশিল্পীরা ওমর সানী ও মৌসুমীকে ঘিরে কান্নাকাটি শুরু করেন। সবাইকে সান্ত্ব্বনা দিতে গিয়ে নিজের চোখেও পানি চলে আসে সানীর। কারণ এই ফলাফল তার কাম্য ছিল না। এভাবে চোখে পানি নিয়েই এফডিসি থেকে বিদায় নিতে হয় তাকে। মৌসুমী ও ওমর সানীকে জড়িয়ে ধরে যাদের সবচেয়ে বেশি কাঁদতে দেখা গেছে, তাদের মধ্য আছেন কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত কমল ও
কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য জেসমিন। তাদের দাবি, সভাপতি ওমর সানীকে হারিয়ে দেয়া হয়েছে। শিল্পীরা তাকে ঠিকই ভোট দিয়েছেন। মৌসুমী-ওমর সানী দম্পতি তাদের সবাইকে বুকে টেনে সান্ত্বনা দেন। মন দিয়ে সবাইকে কাজ করে যেতে বলেন। মৌসুমী বলেন, এটাই আসলে আমাদের শিল্পীসমাজ। আমি আসলে ওদের এমন আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ দেখে কী বলব বুঝতে পারছি না। এমন একটা পরিবেশ-পরিস্থিতি আজ তৈরি হবে, এটা বুঝতে পারিনি। ওমর সানী মানবজমিনকে গতকাল বলেন, সঠিকভাবে আমার যা যা করার আমি করেছি। এক কথায় চেষ্টা করেছি মাত্র। এর বেশি আর কি করব। তবে আমার মনে হয়েছে, শিল্পীরা আমাকে অনেক ভালোবাসে এবং নির্বাচনেও ঠিকই ভোট দিয়েছে। তারা হাঁউমাউ করে কান্নাকাটি করেছে। শিল্পীরা আমাকে যে এভাবে ভালোবেসেছে, এটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় বিজয়। এর বেশিকিছু আমার বলার নেই। উল্লেখ্য, গত ৫ই মে এফডিসিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়। নির্বাচনের ফলাফলে জানানো হয় সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন জায়েদ খান। আপিল বোর্ডে ওমর সানীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার নতুন করে ভোট গণনার পর ওমর সানীর পক্ষে ৯টি ভোট বাড়ে। তার ঘোষিত ভোটসংখ্যা ১৫৩ থেকে বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১৬২। মিশা সওদাগর মোট ২৫৯ ভোট পান।