শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > আন্তর্জাতিক > যেভাবে সিআইএর অস্ত্র গিয়ে আইএসের হাতে পড়ে

যেভাবে সিআইএর অস্ত্র গিয়ে আইএসের হাতে পড়ে

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের টালামাটাল অবস্থার মধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উৎপাদিত ও বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে দেয়া অস্ত্র শেষে পর্যন্ত গিয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্য কেন্দ্রিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের হাতে।

কনফ্লিকটড আরমামান্ট রিসার্চের(সিএআর) একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। সিরিয়া ও ইরাক থেকে যেসব অস্ত্র, গোলাবারুদ আইএস পেয়েছে, তার একটি সংখ্যা ও ধরন নির্ণয় করেছে সিএআর।-খবর বিজনেস ইনসাইডারের

২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত রাইফেল, ক্ষেপণাস্ত্র, হাতে তৈরি গ্রেনেডসহ চল্লিশ হাজার অস্ত্রের উৎস ও সরবরাহ ধারার তালিকা তৈরি করেছে এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।

এত বলা হয়েছে, আইএসের ব্যবহৃত ৯৭ শতাংশ অস্ত্র ও ৮৭ শতাংশ গোলাবারুদ প্রাথমিকভাবে আসে রাশিয়া, চীন ও পূর্ব ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো থেকে। এর সবচেয়ে বড় উদহারণ হচ্ছে তাদের ৭.৬২ এমএম ক্যালিবার অস্ত্র।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র অধিকাংশ অস্ত্র কিনে সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহীদের কাছে হস্তান্তর করেছে।

এমনকি এই অস্ত্র সরবরাহের ক্ষেত্রে যোগানদাতা দেশগুলোর কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিন্ন হাতে অস্ত্র চলে যাওয়ার ক্ষেত্রে যেসব দেশ থেকে এসব গ্রহণ করা হয়, তাদের কাছ থেকে সায় না নেয়ায় আস্থার ঘাটতি তৈরি হয়েছে। কারণ চুক্তি অনুসারে এসব অস্ত্র উৎপাদিত দেশের অনুমোদন ছাড়া ভিন্ন হাতে সরবরাহ করতে পারবে না।

এরকম একটি ঘটনা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিক্রি করা ইউরোপীয় ইউনিয়নে উৎপাদিত ট্যাংকবিধ্বংসী আধুনিক গাইডেড অস্ত্র সিরীয় গৃহযুদ্ধের একটি পক্ষের কাছে হস্তান্তর করার কথা। পরে যেটা ইরাকের আইএস যোদ্ধারের হাতে গিয়ে পড়েছে। আর এটা আইএসের হাতে পৌঁছাতে মাত্র মাস দুয়েক সময় লেগেছে।

ক্রমিক সংখ্যা বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন বলছে, ইরাকে পাওয়া ট্যাংকবিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র সিরিয়ার বিদ্রোহীদের হাতে সরবরাহ করা হয়েছিল। একই বছর ট্যাংক ধ্বংস করতে পারে এবং ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী অস্ত্র চালাতে পারে এমন একটি ছোট্ট বিদ্রোহী গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করে সিআইএ।

যদিও সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে আইএস যোদ্ধারা কীভাবে অস্ত্র পায়, তার সঠিক প্রক্রিয়া এখনো পরিষ্কার না। কিন্তু গোষ্ঠীগত সহিংসতার মধ্যে ফ্রি সিরিয়ান আর্মিসহ বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী আইএসে যোগ দিয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে।