মঙ্গলবার , ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ , ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ , ৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে হোম রেমেডি

যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে হোম রেমেডি

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ প্রতিটা মানুষের জীবনের রঙিন সময় তার যৌবন। যৌবনের বাঁধভাঙ্গা জোয়ার মানুষকে করে যায় প্লাবিত। এ সময়টায় আবেগ যেন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এই সময়ে নারী ও পুরুষের দেহ-মনে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। একই সাথে অনেক নারী ও পুরুষদের নানা ধরনের শারীরিক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা হয় ব্যহত।

মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদেরও নানা ধরনের যৌন সমস্যা রয়েছে। যেমন – প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশেন (সহবাসে স্থায়িত্বের অভাব), ইরেকশন ফেইলিউর (পুরুষাঙ্গের উত্থানে দুর্বলতা), পেনিট্রেশন ফেইলিউর (যৌনাঙ্গ ছেদনে অক্ষমতা) প্রভৃতি।

মেডিকেল সায়েন্স অনুযায়ী, পুরুষদের এসব সমস্যার জন্য যেসব বিষয়কে দায়ী করা হয় সেগুলো হলো:

১. যার সাথে সহবাসে মিলিত হওয়া সেই মানুষটির সাথে বয়সের পার্থক্য

২. সহবাসকারী পার্টনারকে অপছন্দ (যেমন: দেহের ত্বক, মুখশ্রী, দেহ সৌষ্ঠব প্রভৃতি)

৩. ডায়াবেটিস

৪. সিফিলিস

৫. অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, টেনশন ও অবসাদ

৬. যৌনরোগ বা এইডস ভীতি

৭. নারীর ত্রুটিপূর্ণ যৌনাঙ্গ

৮. দেহে সেক্স হরমোনের ভারসাম্যহীনতা

৯. প্রয়োজনীয় যৌন শিক্ষার অভাব

আমাদের মধ্যে অনেকেই লজ্জায় এসব বিষয়ে কাউকে কিছু না বলে নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। এ থেকে সমস্যা আরো মারাত্মক আকার ধারণ করে। তাই এসব সমস্যা নিজের মধ্যে লুকিয়ে না রেখে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধ সেবনের মাধ্যমে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ, ভিডিআরএল, টিপিএইচ, এইচবিএসএজি ও রক্তের হরমোন এনালাইসিস এর মাধ্যমে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

এছাড়াও চাইলে ঘরে বসেই এসব সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। এই পদ্ধতিকে বলা হয় হোম রেমেডি। রোগের প্রাথমিক অবস্থায় হোম রেমেডি পদ্ধতি প্রয়োগ করে রোগটি নির্মূল করা সম্ভব। যে সকল পুরুষের যৌন সক্ষমতা কম তারা নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন।

১. রসুন: মসলা হিসেবে রসুন আমাদের সকলের কাছেই পরিচিত। ডাক্তারী ভাষায় রসুনকে বলা হয় গরীবের পেনিসিলিন। এটি অ্যান্টিসেপ্টিক এবং রসসঁহব নড়ড়ংঃবৎ হিসাবে কাজ করে। যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষ কোনো রোগের কারণে বা দুর্ঘটনার কারণে যৌন ক্ষমতা হারিয়ে গেলে রসুনের মাধ্যমে তা পুণরায় ফিরে পাওয়া যায়। প্রতিদিন দুই থেকে তিন কোয়া রসুন কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খেলে হারানো যৌন অক্ষমতা ফিরে পাওয়া যায়। যারা খালি কাঁচা রুসন খেতে পারেন না তারা গমের আটার তৈরি রুটির সাথেও কাঁচা রসুন মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে শরীরে স্পার্ম তৈরির মাত্রা বেড়ে যায় এবং সুস্থ স্পার্ম তৈরিতে এটি সাহায্য করে থাকে।

২. পেঁয়াজ: আমরা অনেকেই জানি পেঁয়াজ খেলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। সহজলভ্য এই মসলাটি কাম উত্তেজক ও কামনা বৃদ্ধিকারী হিসাবে অনেকদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে এর ব্যবহার বিধি সম্পর্কে এখন সুস্পষ্ট তেমন কিছু জানা সম্ভব হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সাদা পেঁয়াজ বাটা মাখনের সাথে ভেজে মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, এটি খাওয়ার আগে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা পর্যন্ত কোনো কিছু খাওয়া যাবে না। এটি খেলে দ্রুত বীর্যপাত, স্বপ্নদোষ প্রভৃতি সমস্যার সমাধান হয়। এছাড়াও পেঁয়াজের রসের সাথে কালো খোসাসহ বিউলির ডালের গুড়া সাত দিন ভিজিয়ে রেখে রোদে শুকিয়ে সেটি নিয়মিত খেলে কাম-উত্তেজনা বজায় থাকে এবং শারীরিক মিলনকালীন সুদৃঢ়তা বজায় থাকে।