শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > রমজানের শুরুতেই পণ্যমূল্য লাগামছাড়া

রমজানের শুরুতেই পণ্যমূল্য লাগামছাড়া

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রমজানের শুরুতেই রাজধানীর বাজারের প্রায় সব পণ্যের দাম বেশ চড়া। পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ থেকে শুরু করে কাঁচা সবজি, মাছ, মাংসসহ প্রায় সব পণ্যের দামই বেড়েছে।

সব চেয়ে বেশি বেড়েছে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম।গত তিন সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম বেড়েই চলছে। গত এক সপ্তাহ আগে আমদানি করা যে পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩০ টাকায় পাওয়া যেতো।বর্তমানে ওই পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আবার কোথাও কোথাও ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। রমজানের শুরুতেই এর দাম বেড়ে হয়েছে ২০০ টাকা প্রতি কেজি।

ইফতারে চাহিদা বাড়ার কারণে বেড়েছে বেগুন ও টমেটোর দাম। গত সপ্তাহে টমেটোর দাম ছিল ৫৫-৬০ টাকা। এ সপ্তাহে দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা। বেগুন ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এছাড়া রমজানের প্রথম সপ্তাহে বাজারে চাল, ডাল ও তেলের দাম দাম অপরিবর্তিত থাকলেও রমজান উপলে বেড়েছে সকল প্রকার মাংসের দাম। মাংসের বাজারে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৬০ টাকা থেকে বিক্রি ১৮০ টাকা দরে। লেয়ার মুরগি ১৫৫ টাকা, দেশী মুরগির দামও বেড়ছে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত। গরুর মাংস কেজি ২৮০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। খাসির মাংস কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়।

বয়লার মুরগির ডিম প্রতি হালি ৩৫ টাকা, দেশী হাঁস তিন টাকা বেড়ে ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে পেঁপে, পটল ও শসা, কচুর লতি, কচুর মুখি, করলা, বরবটি, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, গাজর, কাকরোল, মুলা কেজিপ্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।আলু ১৬ টাকা, লেবু হালিপ্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধনিয়া পাতা কেজিপ্রতি ২০০ টাকা, পুদিনা পাতা আটি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা, প্রতিপিস ফুল কপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিপিস ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টিকুমড়া ও চালকুমড়ার দাম আকারভেদে ৩০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারও কিছুটা চড়া। কেজিপ্রতি কৈ আকারভেদে ১৬০ থেকে ২৮০ টাকা, পাঙ্গাস ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, শিং আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি চিংড়ি ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ২০০ টাকা, রুই কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া চায়না আদা ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় ও চায়না বড় রসুন ৬৫ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, দেশী রসুন ৮০ টাকা, দেশী আদা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা ক্রেতাদের অভিযোগ রমজানকে সমানে রখেই মূলত বাড়ানো হয়েছে প্রায় সকল প্রকার পণ্যের দাম।

রাজধানীর হাতিরপুল কাছা কাঁচা বাজারে বাজার করতে আসা সিহাব আলী বলেন, “রমজানের শুরুতেই বাজারে সবকিছুর দাম বাড়ানো হয়েছে। সরকার রমজানে পণ্যের দাম না বাড়ানোর কথা বলেছে। কিন্তু আমরা তো বাজার করতে এসে উল্টো চিত্র দেখছি। এখনই সব কিছূর দাম অনেক বেড়েছে।”

বাজারে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের তেমন কোনো পর্যবেণও নেই বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তবে দাম বৃদ্ধির কারণ প্রসঙ্গে বিক্রেতারা বলছেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যায় কাঁচা সবজির কিছুটা তি হয়েছে। যার ফলে ঢাকার বাইরে থেকে বেশি কাঁচা সবজি ঢাকায় আসতে পারেনি। এছাড়াও পানি লেগে অনেক মরিচ নষ্ট হয়েছে। ফলে বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে।