শুক্রবার , ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > রাজধানীতে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসী মাহাদী নিহত

রাজধানীতে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসী মাহাদী নিহত

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসী মাহাদী নিহত হয়েছে। শুক্রবার রাতে পল্লবী থানার বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি পিস্তল উদ্ধার
করেছে। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ অন্তত দুই ডজন মামলা ছিল। মাহাদীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার জেলার দেবিদ্বার ছোট শালঘর। তার পিতার নাম শহিদুল আকন। মিরপুর বড়বাগের ১০১/১ বাসায় স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে নিয়ে বসবাস করতে মাহাদী। পুলিশ জানায়, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাহাদীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বরিশালের স্বরূপকাঠি থেকে মাহাদীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে ঢাকায় আনা হয়। শুক্রবার রাতে অস্ত্র উদ্ধার ও মাহাদীর সহযোগীদের গ্রেপ্তার করতে মাহাদীকে সঙ্গে নিয়ে পল্লবী থানার বেড়িবাঁধ এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলিবর্ষণ শুরু করে। পুলিশও আত্মরার্থে সন্ত্রাসীদের ওপর পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থলে মাহাদীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ মাহাদীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেল সূত্রে জানা  গেছে, রূপনগর থানার এসআই আমিনুল ইসলাম রাত বারোটার দিকে মাথা ও কপালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাহাদীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মাহাদী পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী মিরপুর নিয়ন্ত্রণকারী সন্ত্রাসী শাহাদাত গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিল। মাহাদী মিরপুরে ১৫ সদস্যর একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করতে। নিজস্ব বাহিনী দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় দাপটের সঙ্গে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি, হত্যা ও গুমের অপচেষ্টা, ডাকাতি, ছিনতাইসহ দুই ডজনের বেশি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে মিরপুরের মডেল থানায় মামলা রয়েছে ১৮টি।
মিরপুরের পুলিশের ডিসি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মিরপুর এলাকার সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির ফলে এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। পুলিশের তালিকাভুক্ত এ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করতে একাধিক টিম মাঠে কাজ করেছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে এলাকা থেকে গাঢাকা দিতো সে।