শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > রাজধানীর যেসব রুটে অজ্ঞান পার্টির দৌড়াত্ম

রাজধানীর যেসব রুটে অজ্ঞান পার্টির দৌড়াত্ম

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
ঢাকা: রাজধানীর পল্টন, সায়েদাবাদ ও মগবাজার থেকে অজ্ঞান পার্টির তিন দলনেতাসহ ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া তিন দলনেতা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান শেখ ও আব্বাস আলী। অন্য সদস্যরা হলেন- মো. পলাশ, আব্দুল মান্নান, মো. শাহিন, ফারুক চৌধুরী ওরফে মাসুম, সোহেল, জাকির হোসেন, মানিক হোসেন, ওমর ফারুক, ইসমাইল হোসেন, জয়নাল আবেদীন ওরফে বাবুল খন্দকার, শহর আলী, আব্দুল মতিন ওরফে মতি, সুলতান শেখ, আব্দুল খালেক, মাহিনুর ও রাশেদুল ইসলাম ওরফে রিপন।

মঙ্গলবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ডিবি’র যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

তিনি জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে চেতনানাশক ট্যাবলেট মাইলামসহ, ডরমিটল এবং লোনাজেপ-২ এবং চেতনানাশক হালুয়া উদ্ধার করা হয়।

এর আগে হাইকোর্ট মাজারের সামনে থেকে শরবত বিক্রেতা অজ্ঞান পার্টির এক নারী সদস্যসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, অজ্ঞান পার্টির এসব সদস্য বিভিন্ন রুটে বিভক্ত হয়ে একেকজন দলনেতার নেতৃত্বে অপকর্ম করতো। তাদের রুটগুলো হচ্ছে মহাখালী থেকে টঙ্গী-গাজীপুর-ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল রুট, গাবতলী থেকে সাভার-আশুলিয়া-চান্দুরা-মানিকগঞ্জ রুট, যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ থেকে মাওয়া-চিটাগাং রোড-নারায়াণগঞ্জ রুট। এসব রুটে তারা যানবাহনে ক্যানভাসার এবং সাধারণ যাত্রী বেশে যাত্রীদের টার্গেট করে অজ্ঞান করে সবকিছু লুটে নেয়। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সাধারণত আন্তুঃজেলায় বিভক্ত হয়ে কাজ করে।

যুগ্ম-কমিশনার আরো জানান, গত রমজানের ঈদে রাজধানীতে ৫৫/৬০ জন অজ্ঞান পার্টির সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গত রমজান মাসে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অজ্ঞান পার্টির সদস্য গ্রেপ্তার হওয়ায় ঈদের সময় সাধারণ মানুষ নিরাপদ ছিলেন। তাই এবার অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা আগে ভাগেই মাঠে নেমে পড়েছে। গোয়েন্দা তৎপরতাও এবার আগেই শুরু করেছে পুলিশ।

তিনি জানান, এখনো রাজধানীতে ২০/২২ জন এবং রাজধানীর বাইরে আরো ২০/২৫ জন অজ্ঞান পার্টির সদস্য অধরা আছে। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তিন ধাপে কাজ করে থাকে। প্রথমে তাদের একজন ইনফরমার যাত্রী টার্গেট করে। এরা সাধারণত একক যাত্রী টার্গেট করে। ওই ব্যক্তির কাছে কী পরিমান অর্থ থাকতে পারে সেই সম্পর্কেও ইনফরমারদের কাছে তথ্য থাকে। এরপর ক্যানভাসার/যাত্রী বেশে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা বাসে উঠে ওই টার্গেট করা ব্যক্তির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে। সর্বশেষ দলনেতা টার্গেট করা ওই ব্যক্তিকে অজ্ঞান করে সব নিয়ে সটকে পড়ে।