শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > জাতীয় > রাজনীতি এখন দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসা : ড. দেবপ্রিয়

রাজনীতি এখন দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসা : ড. দেবপ্রিয়

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
রাজনীতি এখন দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসা বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ‘দ্য লিস্ট ডেভেলপমেন্ট কান্ট্রিস রিপোর্ট-২০১৮’র প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। যাতে ভবিষ্যত উদ্যোক্তা তৈরির দিক-নির্দেশনা তুলে ধরা হয়। এতে অর্থনীতির কাঠামোগত রূপান্তর ও সরকারি নীতি সংস্কারের বিষয়েও বলা হয়।

দেশের রাজনীতিতে ব্যবসায়ীদের আধিক্যের কথা তুলে ধরে ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘নির্বাচনী মাঠে ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর যথেষ্ট উপস্থিতি দৃশ্যমান। রাজনীতিবিদদের চেয়েও হয়তো ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে বেশি হবে। ব্যবসায়ীরা এখন প্রয়োজন বোধ করছেন রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে। কারণ, যেসব সুযোগ-সুবিধা তারা অনেক ক্ষেত্রে পেয়েছেন, সেটা একমাত্র রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য দ্বারাই সুরক্ষা করা সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘কর অবকাশ থেকে শুরু করে কোনো একটি লাইসেন্স বা নতুন একটি ব্যাংকের কথা বলেন- এগুলো বিশেষভাবে আনুকূল্যের ভিত্তিতে হয়েছে। সেজন্য তারা রাজনীতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে এটাকে সুরক্ষা দিতে চায়।’

দেবপ্রিয় বলেন, ‘আবার রাজনীতিবিদরাও এখন অনেক বেশি ব্যবসার দিকে যুক্ত হচ্ছে। রাজনীতিবিদরাও এখন ব্যবসায়ী হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা একে অপরের সমর্থনে কাজ করছেন। নাগরিকরা কে রাজনীতিবিদ আর কে ব্যবসায়ী তা বুঝে উঠতে পারছেন না। তাদের সামনে দৃশ্যমান হচ্ছে- বাংলাদেশে এখন রাজনীতিই সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী উদ্যোগ।

‘নির্বাচনের আগে যারা হলফনামা ঘোষণা দিচ্ছে, সে হলফনামাগুলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দ্রুততার সঙ্গে দেখে এর একটি মূল্যায়ন জনগণের সামনে দেবেন, যেটা নির্বাচন কমিশন বিবেচনায় নেবেন। নির্বাচনের পরে যারা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন তখনই তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ ঘোষণা দিয়ে নিবন্ধন করবেন। যেখানে বলতে হবে, এই এই খাতে আমার ব্যবসায়িক স্বার্থ আছে, বিনিয়োগ আছে, আমার পরিবার এটার সঙ্গে যুক্ত। তাহলে আইন প্রণয়ন করার ক্ষেত্রে উনি যখন মতামত দেবেন, তখন বুঝতে পারবো উনি কতখানি এটা নীতির ভিত্তিতে বলছেন। কতখানি ব্যক্তি স্বার্থে বলছেন। এই স্বচ্ছতা যদি আমাদের সংসদের ভেতরে না আসে, আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে কিন্তু এর আগে যে স্বার্থগুলোর কথা বলেছি, যে বিকৃতির কথা বলেছি, তা চলে আসবে’,- বলেন তিনি।