শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > ভ্যারাইটিজ > রাণীশংকৈলে অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত

রাণীশংকৈলে অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত

শেয়ার করুন

জেলা প্রতিনিধি ॥
ঠাকুরগাঁও: অতিথি পাখির কলতানে মুখর হয়ে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার রামরাই দিঘি। আর প্রকৃতির এ নতুন রূপটাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে অতিথি পাখির দল। শীতের আগমনে ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈল উপজেলার রামরাই দিঘিতে ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে অতিথি পাখির দল। হাজার হাজার পাখির আগমনে পুরো দিঘি এলাকা এখন পাখির রাজ্যে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই রামরাই দিঘির পাড়ে লিচু গাছে আশ্রয় নেয় অতিথি পাখিরা। ভোর হলেই পুনরায় খাবারের সন্ধানে রামরাই দিঘিতে ভিড় জমায় তারা। আর এসব পাখিদের মিলনমেলা দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে রামরাই দিঘিতে ছুটে আসছেন পাখিপ্রেমীরা। প্রতি বছর শীতে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে আমাদের দেশে আসে বাহারি রংয়ের অতিথি পাখি। প্রচণ্ড শীতের দেশ সুদূর সাইবেরিয়া। পাখিরা সেই সাইবেরিয়ায় শীতের কবল থেকে রেহাই পেতে অভয়াশ্রম হিসেবে বেছে নেয় বাংলাদেশকে। এদেশের নদ-নদী, হাওর-বাওড় এরা যেন খুব ভালোবাসে। এগুলো যেন সুদীর্ঘকাল ধরে পরিচিত তাদের কাছে।

রামরাই দিঘি এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সালাম জানান, সারাদিন অনেক মানুষ আসে এসব অতিথি পাখি দেখার জন্য। এদের কলতানে মুখর হয়ে আছে রামরাই দিঘি এলাকা। কেউ যেন এদের শিকার করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা এলাকাবাসী সজাগ আছি।

ঠাকুরগাঁওয়ের পাখিপ্রেমী রেজাউল হাফিজ রাহী জানান, আমাদের এখানে যে অতিথি পাখি আসছে তার নাম ছোট সরালি। অতিথি পাখিরা আমাদের দেশে অতিথি হয়ে আসে। অতিথি পাখিরা যাতে আমাদের এখানে নির্ভয়ে থাকতে পারে সে জন্য প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অতিথি পাখির আগমনে এ এলাকার যেমন সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পায় তেমনি এরা প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় সহযোগিতা করে। তাই অতিথি পাখি শিকারকে আমরা সবাই না বলি।

এ প্রসঙ্গে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আলী কবীর বলেন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে স্থানীয়দের পাশাপাশি প্রশাসনিকভাবেও ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার রামরাই দিঘি এলাকায় পাখি রক্ষায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।