শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > রিট খারিজ, নিজাম হাজারীর এমপি পদ বৈধ

রিট খারিজ, নিজাম হাজারীর এমপি পদ বৈধ

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা: ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদে থাকা নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকীর একক হাইকোর্ট বেঞ্চ (তৃতীয় বেঞ্চ)। ফলে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকা বৈধ বলে মত দিয়েছেন আইনজীবীরা।

২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. এমদাদুল হক তার রায়ে রুল মঞ্জুর করে নিজাম হাজারীর পদে থাকাকে অবৈধ ঘোষণা করেন। অপর বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান এ বিষয়ে করা রিট ও রুল খারিজ করে দেন। অর্থাৎ তার রায়ে নিজাম হাজারীর এমপি পদ বৈধ।

এরপর নিয়ম অনুসারে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি তৃতীয় বেঞ্চে পাঠান। বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর একক বেঞ্চ বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসানের সঙ্গে একমত পোষণ করে রিটটি খারিজ করে দেন।

আদালতে নিজাম হাজারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও নুরুল ইসলাম সুজন। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন কামরুল হক সিদ্দিকী ও সত্যরঞ্জন মন্ডল।

২০১৪ সালের ১০ মে একটি জাতীয় দৈনিকে‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় নিজাম হাজারীর ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু দুইবছর ১০ মাস কম সাজা খেটে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।’

পরে এই প্রতিবেদন যুক্ত করে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া।

রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৮ জুন রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের ৩ আগস্ট এ রুলের শুনানি শেষে ১৭ আগস্ট সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদ থাকবে কি-না, সে বিষয়ে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।

তবে বিচারিক আদালতের একটি নথি না আসায় রায়ের দিন পিছিয়ে ২৩ আগস্ট ধার্য
করা হয়। পরে কয়েক দফা পিছিয়ে ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর বিভক্ত রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

নিয়ম অনুসারে রুলটির নিষ্পত্তির জন্য একক বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি। পরবর্তীতে কয়েকটি একক বেঞ্চ বিব্রতবোধ করার পর সর্বশেষ উক্ত বেঞ্চে রুলটি নিষ্পত্তির জন্য পাঠানো হয়। এই বেঞ্চে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রায়ের জন্য দিন ঠিক করা হয়।

রিট আবেদনে বলা হয়েছিলো, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর ৫ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে।

সে হিসেবে নিজাম হাজারী ২০১৫ সালের আগে সংসদ সদস্য হতে পারেন না। অথচ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন তিনি।