শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > রিমির বাধা ছাত্রলীগের ২ নেতা

রিমির বাধা ছাত্রলীগের ২ নেতা

শেয়ার করুন

কাপাসিয়া প্রতিনিধি ॥ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগসহ তিন দলের প্রার্থী। এর মধ্যে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বি হয়েছেন জাপা ও বিএনএফের দুই প্রার্থী, যাদের পরিচয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।

গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনের প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমি এমপি। রিমি দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজের বড়বোন।

জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নিমেছেন বঙ্গবন্ধু ল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছাত্রলীগ নেতা ড. মিয়া মো. আনোয়ার হোসেন ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) টেলিভিশন প্রতীকের প্রার্থী ছাত্রলীগ নেতা অ্যাডভোকেট সারোয়ার-ই কায়েনাত।

নির্বাচনে টেলিভিশন প্রতীকের প্রার্থী তেমন কোনো ফ্যাক্ট না হলেও রিমির গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা লাঙ্গলের প্রার্থী আনোয়ার।

কাপাসিয়া উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে জানা গেছে, দেশের জনপ্রিয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের ছেড়ে দেয়া আসনে ২০১২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনে এমপি হন তারই বড় বোন সিমিন হোসেন রিমি। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় উন্নয়নও করেছেন চোখের পড়ার মতো।

কিন্তু সম্প্রতি উপজেলার ১১ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান আরিফের সঙ্গে তৃণমূল পর্যায়ে গ্রুপিংয়ের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে সভাপতি-সম্পাদকের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এমনকি সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। তবে এসব জানতেন বলেই দাবি রিমির। অথচ সোহেল তাজের সময় এলাকায় কখনো কোনো গ্রুপিং তো দূরের কথা তৃণমূলের একটি কর্মীও আওয়ামী লীগের বাইরে কোনো চিন্তাই করেননি।

এদিকে, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আনোয়ার বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেন, তার প্রচারণা ঠেকাতে মাইক, পোস্টার, লিফলেট ছিনিয়ে নেয়ার পাশাপাশি তার সমর্থকদের ওপর হামলাও চালিয়েছেন নৌকা সমর্থকরা। এসব হামলার ঘটনায় কয়েকটি সংবাদ সম্মেলনও করেছেন তিনি। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জেলা রিটানিং অফিসার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন।

২০১২ সালের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগে প্রার্থী হতে ব্যাপক জোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন আনোয়ার। ওই সময় নৌকার প্রার্থী না হতে পেরে এবার লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচনী মাঠে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে তিনি বলে বেড়াচ্ছেন যে, ‘আমি তো আওয়ামী লীগেরই লোক। আমি ছাত্রলীগ নেতা। আমাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই বলেছেন লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে।’

এমপি হলে তাকে মন্ত্রীত্ব দেয়া হবে বলেও ভোটারদের আশ্বস্ত করছেন। তার এসব কথায় আওয়ামী লীগের গ্রুপিংয়ের লোকজন লাঙ্গলের দিকে ভিড়ছেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা জানান, উপজেলা সভাপতির একগুঁয়েমির কারণে পোড় খাওয়া অনেক আওয়ামী লীগ নেতা বিভিন্ন সময় মূল্যায়িত হননি। এর ফলে দলটির বড় একটি অংশ নিরবে লাঙ্গল সমর্থন করছেন।

নির্বাচনে জয়ী হতে রিমিও গত শুক্রবার থেকে ভোট চাইতে মাঠে নেমেছেন। তিনি উপজেলার সব এলাকা চষে রেড়াচ্ছেন। তবে আওয়ামী লীগ নেতারা এ আসনে বিএনপির হান্নান শাহকে ছাড়া অন্য কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বি ভাবতে নারাজ। তাদের দাবি, এ আসন আওয়ামী লীগের। এখানে নৌকা ছাড়া অন্য প্রতীক জয়ী হতে অনেক ত্যাগ করতে হবে।