শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > রাজনীতি > রুখো মোদি, বাঁচাও দেশ: মেজর আখতার

রুখো মোদি, বাঁচাও দেশ: মেজর আখতার

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণের প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিএনপির সাবেক এমপি মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান।

রোববার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেয়া ওই স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘১৭ মার্চ ২০২০ সালের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ শুরু হতে যাচ্ছে। এতদিন সবাই বলে আসছে যে বর্তমান সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চাচ্ছে। এতদিন ছিল যা একটি অভিযোগ।

এখনও বহু দল আছে, বিএনপি আছে, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি ইত্যাদি অনেক দল, বহু দল আছে। কাজেই সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে তা ধোপে টিকে নাই।

কিন্তু ২০২০ সালের ১৭ মার্চের পর সত্যিকারের একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম হতে যাচ্ছে। জনগণ মোদিকে বাংলাদেশে আসতে দিতে চাচ্ছে না। অনেক রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠী মোদিকে বাংলাদেশে না আসার জন্য আন্দোলনের হুমকি ধমকি দিচ্ছে।

শেষ পর্যন্ত মনে হয় মোদিকে বাংলাদেশে আসতে কেউ বাধা দিতে পারবে না। মোদি বাংলাদেশে আসবেই এবং বিজয়ের হাসি হেসে বাংলাদেশ থেকে চলে যাবে।

কিন্তু জ্বালিয়ে দিয়ে যাবে প্রতিহিংসার দাবানল। শুরু হবে বাংলাদেশে নতুন রাজনীতি। সরকার হয়ে উঠবে প্রচণ্ডতম আত্মবিশ্বাসী এবং ক্ষমতাধর।

বন্দি করবে সব বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকে। বন্ধ করে দেবে সব বিরোধী রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম। জননিরাপত্তা ও নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়নের নামে আসবে জনগণের ওপর চরম নিয়ন্ত্রণমূলক প্রশাসনিক বিধিবিধান, কঠোর হবে শাসনব্যবস্থা এবং তখনই শুরু হবে সত্যিকারের একদলীয় শাসনব্যবস্থা।

সংশোধিত হবে সংবিধান। রাষ্ট্রের সমুদয় ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হবে এক ব্যক্তির হাতে এবং শাসনব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠিত হবে সম্পূর্ণ পরিবারতন্ত্র। পরিবার বা পরিবারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কোনো অংশীদার থাকবে না।

১৭ মার্চ ২০২০ সালের পর বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইতিহাসের ভয়াবহতম পারিবারিক শাসন, যাকে পূর্ণ সমর্থন করবে ১৭ মার্চ ২০২০ সালে ঢাকার মাটিতে বিজয়ী হয়ে যাওয়া মহাপরাক্রমশালী উগ্র সাম্প্রদায়িক, সন্ত্রাসী, চরম মুসলিম ও বাঙালি বিদ্বেষী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশের জনগণকে বাঁচাতে হলে, গণতন্ত্র পূর্ণপ্রতিষ্ঠা করতে হলে, বহুদলীয় রাজনীতি চলমান রাখতে হলে যে কোনো মূল্যে মোদির বাংলাদেশে আসা প্রতিহত করতেই হবে।

দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে একসঙ্গে মিলে মোদি প্রতিরোধ আন্দোলনে আমাদের নামতেই হবে। দেশকে বাঁচাতে হবে মোদির আগ্রাসন থেকে। মোদির আগ্রাসন রুখতে পারলেই জনগণের কল্যাণ হবে, জনগণের মুক্তি আসবে, স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব টিকে থাকবে।

জনগণ নিরাপদ ও শান্তিতে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে পারবে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান তার ইমান ও আকিদা নিয়ে হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান এবং অন্যান্য আদিবাসী ও সংখ্যালগরিষ্ঠদের সঙ্গে নিয়ে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে পারবে। তাই সবাই মিলে একবাক্যে স্লোগান তুলতে হবে- রুখতে হবে মোদিকে, বাঁচাতে হবে বাংলাদেশকে।