বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে হাতিয়া দ্বীপের কাছে ঠেংগামারা চরে স্থানান্তরের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী প্রায় ৬০টি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে এক বৈঠকে এই পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।
এ পরিকল্পনা বৈঠকে রোহিঙ্গাদের হাতিয়া দ্বীপের কাছে ঠেংগামারা চরে স্থানান্তর করা, সেখানে আবাসন, স্কুল ও রাস্তাঘাটের মতো অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা তৈরি করতে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এই আবাসনকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য একটি ‘অস্থায়ী ব্যবস্থা’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রায় ৬০ জন রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার বা মিশন প্রধান ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার প্রতিনিধিদেরকে জানানো হয়েছে। কক্সবাজারের সংলগ্ন এলাকাগুলোতে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এতে নানা রকম অসুবিধার দিক নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
কক্সবাজারে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের নতুন করে আবাসনের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। মানবিক সহায়তাও দেয়া যাচ্ছে না। এছাড়া সীমান্ত সংশ্লিষ্ট নানা অপরাধী নেটওয়ার্কেও রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। যা ক্রমেই বাড়ছে।
এই পরিস্থিতি এড়াতেই ঠেংগামার চরে তাদেরকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কূটনীতিকদের তরফ থেকে এই স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় সার্বিক সহায়তা দেবার আশ্বাস দেয়া হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। সূত্র: বিবিসি বাংলা
