শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > লতিফ এখনও আওয়ামী লীগে!

লতিফ এখনও আওয়ামী লীগে!

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের জেরে প্রভাব ও প্রতাপশালী রাজনীতিক আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এখন কারাগারে।

আরো আগে হারিয়েছেন মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ। তবে সংসদ সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদে তার আসনটি এখনো খালিই রেখেছে আওয়ামী লীগ।

জাতীয় সংসদের সদ্য শেষ হওয়া অধিবেশনে দেখে গেছে, প্রথম সারির ট্রেজারি বেঞ্চে মন্ত্রিদের কাতারে লতিফ সিদ্দিকীর আসনটি খালি।

তার সংসদ সদস্য পদ থাকা না থাকা নিয়ে সদ্য সমাপ্ত চতুর্থ অধিবেশনে একাধিক সংসদ সদস্য স্পিকারের রুলিংও দাবি করেন।

২৫ নভেম্বর পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে স্পিকারের উদ্দেশে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, আপনাকে একটি রুলিং দিয়ে বিষয়টি পরিস্কার করা প্রয়োজন, তার সদস্য পদ থাকবে কী থাকবে না! আর এক স্বতন্ত্র সদস্য হাজী মো. সেলিমও এ বিষয়ে স্পিকারের রুলিং দাবি করেন।
কিন্তু স্পিকার তাদের আবেদনে নীরব থাকেন।

পরে বিষয়টি খোলাসা হতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর বক্তব্য জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমার কাছে এ সংক্রান্ত কোন চিঠি আসেনি। মৌখিকভাবেও কেউ কিছু বলেননি।

তাহলে কি লতিফ সিদ্দিকী এখনও আওয়ামী লীগেরই সংসদ সদস্য!

সংবিধান অনুযায়ী, কোনো সংসদ সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলে স্পিকারকে চিঠির মাধ্যমে অবহিত করতে হয়। তবে এমন ক্ষেত্রে বহিষ্কৃতের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদ থাকবে বলেই মনে করেন অনেক সংবিধান বিশেষজ্ঞ।

এ প্রসঙ্গে প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বাংলানিউজকে বলেন, লতিফ সিদ্দিকী এখনও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য।

তিনি বলেন, কাউকে দল থেকে অব্যাহতি বা বহিষ্কার করা হলে তিনি স্বতন্ত্র সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। এক্ষেত্রে আইনি কোনো জটিলতা নেই।

যদিও কেউ দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর তিনি স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য থাকবেন কি না সে বিষয়ে সংবিধানে স্পষ্ট কোনো উল্লেখ নেই।

কার্য প্রণালী বিধির ২৩ অধ্যায়ে সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের বিষয়ে বলা আছে, ‘কোন সদস্য তার আসন হইতে পদত্যাগ করিতে চাহিলে স্পিকারকে স্বহস্তে লিখিত আবেদন করতে হবে, তবে তিনি কারণ দর্শাইবেন না। স্পিকার এ সংক্রান্ত পত্রটি প্রাপ্তির সময় হইতে সংবিধানের ৬৭ অনুচ্ছেদের (২) দফা অনুযায়ী পদতাগ কার্যকর হইবে।’

সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি নির্বাচিত হওয়ার পর কোনো সদস্যের বেলায় এমন সমস্যা দেখা দেয় (আসন শূন্য হবে কি না) তাহলে স্পিকার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে পাঠাবেন। পরে নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে তিনি (ওই সদস্য) অযোগ্য, তাহলে তার আসন শূন্য হবে। এছাড়া কোনো সদস্য যদি সংসদের অনুমতি ছাড়া ৯০ দিন বৈঠকে অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে তার আসন শূন্য হবে।

এছাড়া সংবিধানে কোথাও লেখা নেই যে, দল থেকে বহিষ্কৃত হলে তিনি স্বতন্ত্র সদস্য হবেন। বাংলানিউজটোযেন্টিফোর.কম