বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৪ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৭ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > লাগামহীনভাবে বাড়ছে শিশুখাদ্যের দাম

লাগামহীনভাবে বাড়ছে শিশুখাদ্যের দাম

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গুঁড়া দুধের দাম ফের বেড়েছে। মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। নানা অজুহাত দেখিয়ে লাগামহীনভাবে বাড়ানো হচ্ছে শিশুখাদ্যের দাম। ঈদের পরপরই সব ধরনের শিশুখাদ্যের দাম একবার বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ডিপ্লোমা ৬৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১৫ দিন আগে দাম ছিল ৫৯৮ টাকা। ডানো বিক্রি হচ্ছে ৬৩৫ টাকা। অল্প কিছু দিন আগেও ছিল ৫৯৫ টাকা।

অন্যদিকে ফ্রেশ ও মার্কসের দাম আরও বেশি বেড়েছে। সোমবার প্রতি কেজি ফ্রেশ বিক্রি হয়েছে ৫২০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৪৮০ টাকা। মার্কস বিক্রি হয় ৫২৫ টাকা দরে। ঈদের আগে ছিল ৪৮৫ টাকা। দাম বৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে কিনা জানতে চাইলে দোকানিরা জানান, শুনেছি পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ সরবরাহ হচ্ছে না। সে কারণে এমনটি হচ্ছে। শিশুদের উপযোগী ডিপ্লোমা, ডানো, ফ্রেশ ও মার্কস তৈরিতে যে দুধের প্রয়োজন হয় তা আমদানি হয় বিদেশ থেকে।

বিশেষ করে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ডেনমার্ক থেকে চাহিদার তুলনায় খুব কম দুগ্ধজাতীয় পণ্য আসায় এ দাম বৃদ্ধির ঘটনা ঘটছে। ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য হ্রাস ও আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাতে দুধের দাম আরও বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, ১ কেজি ডানো দুধের দাম ৫৮৫ টাকা। গত বছর একই সময়ে এ দুধের দাম ছিল ৪৯০ টাকা। এ হিসাবে ১ বছরের ব্যবধানে ডানোর দাম বেড়েছে কেজিতে ৯৫ টাকা।

টিসিবির তথ্য মতে, প্রতি কেজি ডিপ্লোমা ৫৭০ টাকায়, ফ্রেশ ৪৮৫ টাকায় ও মার্কস ৪৮০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। এক বছর আগে এসব দুধের দাম ছিল ৪২০ থেকে ৪৯০ টাকার মধ্যে। বাজারে নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেডের নিডো ব্র্যান্ডের ২ কেজি ৫০০ গ্রামের দুধের দাম ২ হাজার থেকে বেড়ে ২ হাজার ১০০ টাকা, ৯০০ গ্রাম ৭৫০ থেকে বেড়ে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় পাইকারি-খুচরা বিক্রেতারাও ভোগান্তিতে পড়েছেন। কারণ ক্রেতার যত ক্ষোভ সামলাতে হচ্ছে তাদেরই। এছাড়া দাম বৃদ্ধির কারণে আগের চেয়ে বিক্রিও কমে গেছে। খরচ বাঁচাতে শিশুখাদ্যের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এখন টিনবদ্ধ খাদ্যের বদলে প্যাকেটবদ্ধ করছে।

কারণ টিনবদ্ধ খাদ্যের উৎপাদন খরচ হয় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেশি। কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী শফিক জানান, গত মাসেই কোম্পানির লোকেরা আগাম ঘোষণা দিয়েছিলেন, আরেক দফা দাম বাড়ানো হবে শিশুখাদ্যের। আর এ দাম বাড়ানোর জন্য বাজারে সরবরাহ কমিয়ে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করা হয়েছে। অন্যসব নিত্যপণ্যের মতো বাজেট ঘোষণার পরপরই গুঁড়োদুধের দামও বেড়েছে। ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গুঁড়োদুধের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে।