শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > আন্তর্জাতিক > লাদেনের কাছ থেকে ‘অর্থ’ নিয়েছিলেন নওয়াজ!

লাদেনের কাছ থেকে ‘অর্থ’ নিয়েছিলেন নওয়াজ!

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
পানামা পেপারস বিতর্কের পর এবার নতুন ঝামেলায় পড়তে যাচ্ছেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। ওসামা বিন লাদেনের কাছ থেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ আর্থিক অনুদান গ্রহণ করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এ অর্থ কাশ্মীরে জিহাদে এবং বেনজির ভুট্টোর সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খান এ জন্য নওয়াজ শরিফের পদত্যাগ দাবি করেছেন।

পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ আশির দশকে আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের থেকে জেহাদের নামে ‘আর্থিক অনুদান’ গ্রহণ করেন। সেই অর্থ পরে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জন্যও ব্যবহার করা হয়। তেহরিক ই ইনসাফের বলছে, দলটি নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে এ ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন জানানো হবে। তবে শুধু একটি বইয়ের লেখা ও কয়েকটি সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে আদালতে মামলার আবেদন গৃহীত হবে কি না সেটাই দেখার বিষয়।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়েছে তেহরিক-ই-ইনসাফের মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরী গতকাল সোমবার বলেছেন, তিনি পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের কাছে একটি আবেদন দাখিল করবেন। ওই আবেদনে নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে বিদেশি ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ নিয়ে পাকিস্তানের গণতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করে তোলার অভিযোগ আনা হবে।

আইএসআইয়ের সাবেক গুপ্তচর খালিদ খাজার স্ত্রী শামামা খালিদের বই ‘খালিদ খাজা: শাহিদ-ই-আমান’-এ নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধ অর্থ নেওয়ার প্রসঙ্গটি উল্লেখ আছে। খালিদ খাজাকে ২০১০ সালে পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে নৃশংসভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি তালেবানরা।
কোনো প্রামাণ্য নথির কথা উল্লেখ না করে এ বইয়ের সূত্র ধরে তেহরিক-ই-ইনসাফ এমন দাবি করছে। এ সপ্তাহেই দলটি আদালতে যাবে।

‘খালিদ খাজা: শাহিদ-ই-আমান’ বইয়ে বলা হয়েছে, কাশ্মীর ও আফগানিস্তানে জিহাদের জন্য নওয়াজ শরিফ আল কায়েদার ওসামা বিন লাদেনের কাছ থেকে এক শ ৫০ কোটি রুপি নেন। বইয়ে দাবি করা হয়েছে, এই অর্থের কিছু পরিমাণ (২৭ মিলিয়ন) অর্থ দিয়ে বেনজির ভুট্টোর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়।

সূত্র: প্রথম আলো