বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের আলোচকরা নতুন করে শুরু করা শান্তি আলোচনা কমপে ৯ মাস চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, তারা দু’পই কেবল আলোচনার জন্য আলোচনা নয়, এর মাধ্যমে তারা নয় মাসের শান্তি আলোচনার সূচনা করেছেন। এ সময়ে তারা এক সঙ্গে কাজ করবেন বলে মুখপাত্র উল্লেখ করেন। তবে এ নয় মাসের সময়সীমাই কোন চূড়ান্ত সময়সীমা নয় বলেও তিনি জানান। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ প্রায় তিন বছর পর সোমবার ওয়াশিংটনে প্রথম মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা শুরু করেন ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের আলোচকরা। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির উপস্থিতিতে ইসরাইলের প্রধান আলোচক জিপি লিভনি ও ফিলিস্তিনের প্রধান আলোচক সায়েব এরাকাত এ আলোচনায় অংশ নেন। সন্ধ্যায় ইফতারির মধ্য দিয়ে আলোচনা শুরু হয়। টেবিলের একপাশে সায়েব এরাকাত ও জিপি লিভনি একপাশে বসেন। আর অন্যপাশে বসেছিলেন জনকেরি ও তার কয়েকজন সহযোগী। ইসরাইলের মন্ত্রিসভা শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হওয়ার পর দু’পরে মধ্যে নতুন করে এ শান্তি আলোচনা শুরু হয়। আলোচনার মধ্য দিয়ে তীব্র মতবিরোধ সত্ত্বেও দু’পরে সংঘাত দূর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কেরি। সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে কেরি শান্তির জন্য ইসরাইল ও ফিলিস্তিন দু’পকেই যুক্তিসঙ্গতভাবে আপস করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিমতীরে ইহুদি বসতি নির্মাণের প্রতিবাদে ২০১০ সালে সরাসরি আলোচনা থেকে সরে যায় ফিলিস্তিন। তারপর থেকে সরাসরি আলোচনার বিষয়টি বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধের জেরে বন্ধ হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে কেরি দু’পরে মধ্যে সরাসরি শান্তি আলোচনা আবার শুরু করার জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু করেন। এ ল্েয গত চার মাসে তিনি ৬ বার মধ্যপ্রাচ্য সফর করেন। রোববার ইসরাইলি মন্ত্রিসভা ১০৪ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে কেরির এ প্রচেষ্টা আলোর মুখ দেখে। এক ইসরাইলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বন্দিদের মুক্তির পে মন্ত্রিসভার ১৩ সদস্য ভোট দেয়, বিপে দেয় ৭ সদস্য, দু’জন ভোটদানে বিরত থাকে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই দু’পরে আলোচনার সূচি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।