শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > শ্রীপুরে বানার নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের অভিযোগ

শ্রীপুরে বানার নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের অভিযোগ

শেয়ার করুন

শ্রীপুর শহর (গাজীপুর) প্রতিনিধি ॥
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শীতলক্ষ্যার শাখা বানার নদী থেকে সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কতিপয় অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা ইজারা বিধি বহির্ভূতভাবে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপরিকল্পিতভাবে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে শ্রীপুর কাপাসিয়ার মাঝামাঝি দস্যুনারায়নপুর এলাকায় পূর্বের ন্যায় ফের ভূমিধসের আশংকা করছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। এদিকে বরামা-সিংহশ্রী খেয়া ঘাটে নির্মাণাধীন বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সেতু অপরদিকে কাপাসিয়ার ফকির মজনু শাহ সেতু অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে সচেতন মহল দাবী করেন।

গত ২৬ জুন শ্রীপুর উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় ইউপি চেয়ারম্যানগণ অবৈধ বালু উত্তোলনের অভিযোগ উত্থাপন করে জানান, শ্রীপুরের গোসিংগা বাজার ও আশপাশের এলাকায় সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ইজারাকৃত (সীমানা) মৌজার বাহিরে অবৈধ পন্থায় কোটি কোটি ঘনফুট বালু উত্তোলন করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। অতিরিক্ত বালুবাহী ট্রাক ও লড়ি ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তা ঘাটের বেহাল দশা সৃষ্টি করেছে। আইন শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা সরকারী রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে ওইসব অবৈধ বালু জব্দের দাবী করেন। গত ১৩ জুন গাজীপুর জেলা প্রশাসকের নিকট দায়েরকৃত অভিযোগে কাপাসিয়ার বাঘিয়া গ্রামের কৃষক হামিদ উল্লার ছেলে আয়েত উল্লাহ উল্লেখ করেন, ড্রেজারের মাধ্যমে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে নদীর দুই পাড়ের ফসলি জমি ভাঙ্গিয়া ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। তাছাড়া গত দুই মাস ধরে অর্ণা-রিয়াদ ও আল্লাহ-ভরসা নামীয় ড্রেজারের মাধ্যমে দৈনিক ১ কোটি ঘনফুট বালু বানার নদী থেকে উঠাইয়া কাপাসিয়া ও পার্শ্ববর্তী শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন বালু ব্যবসায়ীর নিকট ১ টাকা ঘনফুট দরে বিক্রয় করা হচ্ছে। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে বালু ইজারাদার ও কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আনিছুর রহমান আরিফ সাংবাদিকদের জানান, লীজকৃত মৌজার বাহিরে ১ ইঞ্চি পরিমাণ বালু তিনি উত্তোলন করেননি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলে তিনি দাবী করেন। শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজ হায়দার ভূইয়া জানান, এ বছরের লীজকৃত কাগজপত্র এখনও তাঁর হাতে পৌছায়নি। নদীর ইজারাকৃত কাগজপত্র হাতে পেলে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তাকে নিয়ে মৌজা নির্ধারণ করে বালু উত্তোলনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।