শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > ষষ্ঠধাপে ১৩ উপজেলায় ভোটযুদ্ধ চলছে

ষষ্ঠধাপে ১৩ উপজেলায় ভোটযুদ্ধ চলছে

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ষষ্ঠধাপে ১৩ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে।

সোমবার সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতীহিনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচনের কারণে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় অনুমোদনহীন যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকছে। তবে নির্বাচন কমিশনের স্টিকারযুক্ত যানবাহন চলাচল করতে পারবে।

যে ১৩ উপজেলায় নির্বাচন চলছে: রংপুর সদর, কাউনিয়া, গঙ্গাচড়া, পীরগাছা; সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ; বরগুনার তালতলী; রাজবাড়ীর কালুখালী; গাজীপুর সদর; টাঙ্গাইলের বাসাইল; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর; কুমিল্লার আদর্শ সদর ও সদর দক্ষিণ। তবে এর মধ্যে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় শুধু চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ষষ্ঠ ধাপে মোট ১৮২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৯ জন।

১৩টি উপজেলা মোট ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ১৩৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ১৫ হাজার ৮৭ জন। নারী ভোটার ৯ লাখ ৩০ হাজার ৪৬ জন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৭৪৬টি, মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৪ হাজার ৯৩০টি।

এদিকে রোববার মধ্যরাত থেকে সব ধরনের মিছিল-মিটিংসহ প্রচারণা বন্ধ করা হয়েছে। তা ভোটগ্রহণের ৬৪টি ঘণ্টা পর্যন্ত বহাল থাকবে।

শেষ ধাপের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ইসি। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম জানান, ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশন সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ২০ হাজার সদস্য নির্বাচনী এলাকায় মোতায়েন থাকবে। আগের তুলনায় প্রতিকেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

ইতোমধ্যে ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে ইসি। তারা নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া শনিবার সকাল থেকে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানো হয়েছে। তারা মোট ৫ দিন নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনের আগের দুদিন, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনের পরের দুদিন তারা মাঠে থাকবে।

নির্বাচন কমিশন জানায়, প্রতি উপজেলায় এক প্লাটুন সেনাবাহিনী নিয়োজিত থাকবে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে থাকবে কমান্ডিং অফিসার ও একজন ম্যাজিস্ট্রেট। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি মাঠে থাকবে ভ্রাম্যমাণ মোবাইল টিম, র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার, কোস্টগার্ড।