শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > সংকটে চীনা রসুনের দাম বাড়ছে

সংকটে চীনা রসুনের দাম বাড়ছে

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাইকারিতে চীনা রসুনের দাম বেড়েছে। চাহিদা বাড়লেও দেশী রসুনের মৌসুম না থাকায় সরবরাহ কম। তাই দাম বাড়ছে আমদানিকৃত চীনা রসুনের। ১৫ দিনের ব্যবধানে পাইকারিতে প্রতি কেজি চীনা রসুনের দাম বেড়েছে ১২ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমদানি বাড়লেও রসুনের দাম চড়া থাকবে।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের কাঁচাপণ্য ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েক মাস ধরে বিশ্ববাজারে রসুনের দাম নিম্নমুখী থাকায় দেশে এর দাম ছিল কমতির দিকে। কিন্তু গত মাসে বিশ্ববাজারে পণ্যটির দাম কিছুটা বেড়েছে। সেই সঙ্গে দেশেও সরবরাহও কমে গেছে। কিন্তু ১৫ দিন ধরে পাইকারিতে কোরবানি ঈদের পণ্য বেচাকেনা শুরু হলে রসুনের চাহিদার পাশাপাশি দামও বাড়তে থাকে।

ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫১-৫২ টাকা দরে। ১৫ দিন আগে একই পরিমাণ রসুন বিক্রি হয় ৪০-৪২ টাকায়।

কাঁচা পণ্যের (পেঁয়াজ, রসুন ও আদা) ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, এক টানা তিন-চার মাস নিম্নমুখী থাকার পর গত মাসের মাঝামাঝি সময় প্রতি কেজি রসুনের দাম দাঁড়ায় ৪০ টাকা। এর আগে গত এপ্রিল-মে মাস নাগাদ বাজারে রসুন বিক্রি হয় ৯৫-১০০ টাকা দরে। এরপর বিশ্ববাজারে দাম কিছুটা বাড়লে দেশে এর প্রভাব পড়ে। ৪০ টাকা থেকে আস্তে আস্তে বেড়ে বর্তমানে পণ্যটির দাম ঠেকেছে ৫২ টাকায়। তিনি আরো জানান, দেশী রসুনের সরবরাহ না থাকায় বর্তমানের পণ্যটির বাজার নির্ভর করছে আমদানির ওপর। তাই কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে পণ্যটির আমদানি ও সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকলেও বাজার অস্থির হতে পারে বলে জানিয়েছেন এ ব্যবসায়ী।

খাতুনগঞ্জ হামিদ উল্লাহ মাকের্ট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিচ বলেন, দেশী রসুন বাজারে আসে ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে। ওই সময় ন্যূনতম দামে এ রসুন বিক্রি করতে হয়। গত বছর মৌসুমের সময় ২৫-৩০ টাকা দরে কেজিপ্রতি দেশী রসুন বিক্রি হয়। দেশী রসুনের প্রভাবে ওই সময় আমদানিকৃত চীনা রসুনের দামও স্বল্পমেয়াদে কিছুটা কমে। প্রক্রিয়াজাত করে দীর্ঘদিন রাখার ব্যবস্থা না থাকায় উত্পাদনের তিন-চার মাসের মধ্যে দেশী রসুন পানির দরে বিক্রি করে দিতে হয়। এরপর একচেটিয়া বাজার দখল করে চীনা রসুন। বিশ্ববাজারের দাম ওঠানামা ও আমদানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে রসুনের বাজার। পণ্যটির বাজার স্থির রাখতে দেশী রসুনের উত্পাদন বাড়ানোর পাশাপাশি তা মজুদে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে বুধবার চট্টগ্রামের প্রতি কেজি চীনা রসুন খুচরায় ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হয় বলে জানা গেছে। এর মধ্যে নগরীর কাজীর দেউড়ি কাঁচা বাজার, চউক কর্ণফুলী মার্কেটসহ বিভিন্ন সুপার শপে ৫৮-৬০ ও চকবাজার, বহদ্দার হাটসহ খুচরা মুদি দোকানগুলোয় ৫৫-৫৮ টাকায় বিক্রি হয়