শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > সন্ধীপ কলোনীতে পাহাড় কাটছে প্রভাবশালীরা

সন্ধীপ কলোনীতে পাহাড় কাটছে প্রভাবশালীরা

শেয়ার করুন

জেলা প্রতিনিধি, হাটহাজারী ॥ হাটহাজারী থানার ১ নং দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকার সন্ধীপ কলোনীতে নির্বিচারে পাহাড় কেটে সাবাড় করে রীতিমত স্থাপনা ও বসতি গড়ে তুলেছে প্রভাবশালী সেন্ডিকেট। রহস্যজনক কারনে পরিবেশ অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব ভুমিকায় রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় সচেতন মহল।

যার ফলে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি প্রতিবছর বাড়ছে পাহাড় ধ্বসে মৃত্যুও সংখ্য। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে হাজার হাজার মানুষ। এ ভাবে পাহাড় কাটতে থাকলে আগামী বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধ্বসে মৃত্যুা সংখ্যা অতিতের রেকয ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধানা করছে। উপজেলার চৌধুরী হাটের পশ্চিমে সিটি কর্পোরেশনের ১ নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড এলাকার সন্ধীপ কলোনীর বিভিন্ন স্থানে বিশাল বিশাল পাহাড় কেটে সমতল করা হচ্ছে। সন্ধীপ কলোনীর এ সব পাহাড় কেটে সমথল কাে তাতে অবৈধ স্থাপনা ও বসতি গড়ে তোলা হচ্ছে। আর এ কাজে শ্রমিক ব্যবহার করা হচ্ছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে।

স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান,সন্ধীপ কলোনীতে এ সব পাহাড় কাটার সাথে জড়িত রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী মোহাম্মদ রাশেদ এর নেতৃত্বে একদল লোক।

সরেজমিন দেখা গেছে, সন্ধীপ কলোনীর বিভিন্ন স্থানে পাহাড় কেটে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ চলছে। এ বিধ্বংসী কর্মকান্ড প্রকাশ্যে চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রদক্ষেপ নেয়া হয় না বলে জানান স্থানীয়রা।

রাশেদ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের ম্যানেজ করে দিবারাত্রী এ সব পাহাড় কাটছে। সন্ধীপ কলোনী এলাকায় কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারে না। যারা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে ধমিয়ে রাখার অভিযোগ করে স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে এ এলাকায় চলছে নির্বিচারে পাহাড় কাটা। পাহাড়ের মাটি গুলো দিঘী ভরাট,পুকুর ভরাট ও ফসলী জমি করছে। দেশে পাহাড় কাটা নিষিদ্ধ থাকার কারনে এখন পাহাড়ের মাটি প্রতি ট্রাকে ২ থেকে তিন হাজার টাকায় দাম নিচ্ছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে। প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন সকাল বিকাল ও রাতে চলছে পাহাড় কাটার ব্যস্থতা। প্রভাবশালীদেও ইন্ধনে ও প্রশাসনের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে একের পর এক সাবাড় করছে পাহাড়।

বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনা প্রয়োজন মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।