বৃহস্পতিবার , ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ , ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > শিক্ষাঙ্গন > সমাপনী-ইবতেদায়ীতে অংশ নেবে ৩১ লাখ পরীক্ষার্থী

সমাপনী-ইবতেদায়ীতে অংশ নেবে ৩১ লাখ পরীক্ষার্থী

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

চলতি বছর সমাপনী ও ইবতেদায়ী পরীক্ষায় ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৭৬ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে সমাপনীতে ২৮ লাখ ৪ হাজার ৫০৯ জন এবং ইবতেদায়ীতে ২ লাখ ৯১ হাজার ৫৬৬ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। বুধবার সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে ১২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৮৫ জন ছাত্র এবং ১৫ লাখ ৪ হাজার ৫২৪ জন ছাত্রী রয়েছে। গত বছরের তুলনায় সমাপনীতে ১ লাখ ২৬ হাজার ৬৪ জন শিক্ষার্থী কমেছে। অন্যদিকে ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীতে ছাত্র সংখ্যা ১ লাখ ৫৩ হাজার ১৫২ এবং ছাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ ৪১৪ জন। ইবতেদায়ীতেও কমেছে ৮ হাজার ১৪৯ পরীক্ষার্থী।

সারাদেশে মোট ৭ হাজার ২৭৯টি কেন্দ্রে এবং দেশের বাইরে ১২টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৯ নভেম্বর (রোববার) এ পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ২৬ নভেম্বর। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থা মনিটরিং করবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইলসহ সকল ডিভাইজ নিষিদ্ধ। প্রতিটি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পরীক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসাররা নিয়োজিত থাকবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রিক যত ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি হতে পারে, তা চিহ্নিত করে বন্ধের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আমরা বার্তা দিয়েছি এবং ইতিপূর্বে যারা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জাড়িয়েছে তাদেরকে শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি যে, ধরা পড়লে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এরপরও আমরা এ ব্যাপারে যন্ত্রবান থাকব, যাতে কেউ অনিয়ম দুর্নীতি করতে না পারে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভর্তি এবং ঝরে পরার ক্ষেত্রে আগে নানা ধরনের অসংঙ্গতি ছিল। উপবৃত্তি কেন্দ্রিক ভুয়া ভর্তি ছিল। এখন আমরা অনলাইনে তথ্য ব্যবস্থাপনা ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে উপবৃত্তি দিচ্ছি। এ কারণে ঘাটতিগুলো দূর হয়েছে। ফলে প্রকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়িয়ে আসছে। শিক্ষার্থী কম বেশি হওয়া আমাদের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে না।