শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > সরকারি হচ্ছে আরও ২৩ কলেজ

সরকারি হচ্ছে আরও ২৩ কলেজ

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
সারা দেশে আরও ২৩টি বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণ (সরকারি) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত সোমবার এই তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। শারদীয় দুর্গোৎসব ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করতে পারেনি মন্ত্রণালয়। তবে দু-একদিনের মধ্যে তা জারি করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ২৩ কলেজ সরকারি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এসএম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২৩ বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণের ব্যাপারে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের আদেশ হাতে পাওয়ার পর এসব কলেজ পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি এসব কলেজে সব ধরনের নিয়োগ এবং সব হস্তান্তরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন ২৩ কলেজের তালিকা গত ৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ সাজ্জাদুল হাসানের স্বাক্ষরে পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নতুন এই ২৩টিসহ দেশে সরকারি কলেজের সংখ্যা দাঁড়াবে ৬১৫টি। গত ৩০ এপ্রিলের হিসাব অনুযায়ী দেশে সরকারি কলেজ ছিল ৩২৯টি। এরপর গত জুলাইয়ে একসঙ্গে ১৯৯টি ও আগস্টে ৬৪টি কলেজ সরকারি হয়। এবারের ২৩টিসহ নতুন জাতীয়করণকৃত কলেজের সংখ্যা হবে মোট ২৮৬টি।
প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে কলেজ জাতীয়করণের প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে সরকারি কলেজ নেই এমন ৩২১টি উপজেলা বাছাই করেছিল। এই হিসাবে আরও ৩৫টি কলেজ সরকারি হতে পারে বলে জানা গেছে।
জাতীয়করণের বিষয়ে অভিযোগ : এদিকে ভালো ফলাফল, স্কুলের সম্পদ, তহবিল, পাসের হার, শিক্ষকের যোগ্যতা ইত্যাদি বিবেচনায় উপজেলাভিত্তিক ৪ থেকে ৫টি করে কলেজের তালিকা করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, রহস্যজনক কারণে তালিকার উপরের দিকে থাকা কলেজ জাতীয়করণ হয়নি। এমনকি এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত কলেজও বাদ গেছে। এমন একটি কলেজ ঢাকার দোহারের জয়পাড়া কলেজ। ওই কলেজের শিক্ষকরা সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন, তাদেরটি বাদ দিয়ে ‘পদ্মা কলেজ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের তালিকায় উঠেছে। ওই প্রতিষ্ঠানটির নাম যে তালিকার এক নম্বরে নেই, তা খোদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন। জানা গেছে, অভিযোগের কারণে এরই মধ্যে দুটি কলেজের নীতিগত অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মাউশি আদেশ জারি করেছে।
যে ২৩ কলেজ সরকারি হচ্ছে : ঢাকার নবাবগঞ্জের দোহার নবাবগঞ্জ কলেজ, মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের বিচারপতি নুরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়, দৌলতপুরের মতিলাল ডিগ্রি কলেজ, ফরিদপুরের সালথা কলেজ, শরীয়তপুরের জাজিরা বি কে নগর বঙ্গবন্ধু কলেজ, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা মহাবিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া কলেজ, শেরপুরের ঝিনাইগাতির আদর্শ মহাবিদ্যালয়, চট্টগ্রামের হাটহাজারী কলেজ, কুমিল্লার হোমনা ডিগ্রি কলেজ, সিলেটের বিশ্বনাথ কলেজ, রাজশাহী তানোরের আবদুল করিম সরকার কলেজ, দুর্গাপুরের দাওকান্দি ডিগ্রি কলেজ, নওগাঁর মান্দা মমিন শাহানা ডিগ্রি কলেজ, সিরাজগঞ্জ কামারখন্দের হাজী কোরাপ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ, বগুড়ার নন্দীগ্রাম মহিলা ডিগ্রি কলেজ, শিবগঞ্জ এমএইচ মহাবিদ্যালয়, রংপুরের তারাগঞ্জ ওয়াক্ফ এস্টেট কলেজ, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট ডিগ্রি কলেজ, চিরিরবন্দর ডিগ্রি কলেজ, খুলনার তেরখাদা নর্থ খুলনা কলেজ ও দিঘলিয়া এমএ মজিদ ডিগ্রি কলেজ এবং কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা মহিলা কলেজ।