শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > সাতক্ষিরায় ২ শিবির কর্মী নিহত, গুলিবিদ্ধ ২০

সাতক্ষিরায় ২ শিবির কর্মী নিহত, গুলিবিদ্ধ ২০

শেয়ার করুন

জেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা ॥ সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের নায়েবে আমীর ফখরুল হাসান লাভলু কে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সাতক্ষীরায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি চলছে। অপর দিকে দেবহাটায় যৌথবাহিনির অভিযানে দু’ই শিবির কর্মী নিহত হয়েছে বলে শিবিরের জেলা সভাপতি রুহুল আমিন জানিয়েছে। নিহতরা হলেন,শিবির কর্মী হোসেন আলী (১৪) ও আরিজুল ইসলাম (১৬)। হোসেন আলীর লাশ পার্শবর্তি একটি গ্রামে রাখা হয়েছে বলে শিবির জানায়। অপর শিবির কর্মীর লাশ এখনো ঘটনা স্থলে পড়ে আছে। যৌথ বাহিনির মুহ মুহ গুলির কারণে কেউ ঘটনা স্থলে যেতে পারছে না বলে দলীয় সূত্র জানান। আজ সকাল ৮টার দিকে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা.আ.ফা.ম রুহুল হকের নের্তৃত্বে পুলিশ বিজিবির সমন্বয়ে এ অভিজান শুরু হয়। অভিযানের অংশ হিসেবে যৌথ বাহিনি প্রথমে সড়ক থেকে কাঠের গুড়ি ও মাটির স্তুপ সরাতে থাকে। এক পর্যায়ে বিজিবি নির্বিচারে অবরোধ কারীদের লক্ষ করে গুলি করতে থাকে থাকে এতে দেবহাটা কালিগঞ্জ সড়কে ২০ জন গুলি বিদ্ধ হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানান। অপরদিকে কালিগঞ্জের ভাড়াশিমলায় অবরোধ কারী ও যৌথ বাহিনির সদস্যরা মুখু মুখি অস্থান করছে। সকাল থেকে সংঘর্ষ চলছে। ভাঙচুর, লুটপাট ,অগ্নিসংযোগ ও সড়ক অবরোধের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় ১৮ দলের ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি চলছে।

সোমবার সকাল ৮টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের মিল বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে শহরের সুলতানপুরের মুক্তিযোদ্ধা আয়ুব আলীর পুত্র ফকরুল হাসান লাভলুকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে হরতাল ডাকা হয়েছে বলে জানান জামায়াতের সেক্রেটারী নুরুল হুদা। অপরদিকে প্রতিদিনের ন্যায় আজ সকাল সকাল আটটা থেকে সাতক্ষীরা-যশোর সড়কে বিভিন্ন স্থানে গাছের গুড়ি ফেলে রাখে এবং ছয়ঘরিয়া নামক স্থানে রাস্তা কেটে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে রাখে। সাতক্ষীরা-কালীগঞ্জ সড়কের বাকাল মোড় ও ভোমরা, বাকাল সড়কের বাদামতলা ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছের গুড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখে। সাতক্ষীরা- খুলনা সড়কে বালির ঢিবি তৈরি করে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দিলে পরে কিছু অংশ থেকে বালি সরিয়ে যাতায়াতের পথ সুগম করা হয়। সাতক্ষীরা থেকে দূর পাল্লার সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরের প্রধান প্রধান পয়েন্টগুলোতে পুলিশ , বিজিবি ও র‌্যাব টহল দিচ্ছে। শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ আদালত পাড়ায় উপস্থিতি কম রয়েছে। ভোমরা বন্দরে আমদানি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার ম্যোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সকাল থেকে রাস্তার উপর গাছ ও বালির স্তুপ, রাস্তা কাটাসহ বিভিন্ন ভাবে সড়ক অবরোধ করে জামাত শিবির কর্মীরা ফলে আমাদের এ অভিযান চলছে। নিহতের ব্যাপারে তিনি সত্যাতা স্বীকার করেন।