শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > ‘সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি কমেছে’

‘সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি কমেছে’

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥

ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় (কজলিস্ট) মামলা অন্তর্ভুক্ত করতে চরম ভোগান্তি ছিলো নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। প্রধান বিচারপতির নতুন নির্দেশনার পর সেই ভোগান্তি লাঘব হয়েছে অনেকটাই। একইসঙ্গে এ ব্যাপারে জড়িত বেঞ্চ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতিও কমেছে বলে মনে করছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা।

আইনজীবীদের অভিযোগ ছিলো, ‘টাকা ছাড়া কজলিস্টে মামলা অন্তর্ভুক্ত করা যেতো না। প্রধান বিচারপতির নির্দেশনার পর এখন সে অনিয়ম থেকে অনেকটা পরিত্রাণ পাওয়া যাচ্ছে।’

চলতি বছর আগস্টের শুরুতে সুপ্রিম কোর্টের দৈনিক কার্যতালিকা তৈরিতে নতুন আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি। আর প্রধান বিচারপতির এ আদেশ যথাযথভাবে অনুসরণ করে বেঞ্চ অফিসার ও সহকারী বেঞ্চ অফিসারকে দৈনিক কার্যতালিকা প্রস্তুতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল নির্দেশ দেন।

রেজিস্ট্রারের নির্দেশমতে, রিট মামলার ক্ষেত্রে নম্বর ও সাল অনুসারে (মেনশন স্লিপে উল্লিখিত) আগের মামলা আগে নিয়েই কার্যতালিকা প্রণয়ন করতে হবে। পরে দায়ের করা মামলা কিছুতেই আগের দায়ের করা মামলার ওপরে এনে আইটেম নম্বর নির্ধারণ করা যাবে না।

একই নির্দেশনা ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রেও। সব ধরনের ফৌজদারি মামলার মোশন তালিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত মেনশন স্লিপে উল্লেখিত মামলার এফিডেভিটের তারিখ ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী নিম্নক্রম থেকে ঊর্ধ্বক্রমে আইটেম নম্বর নির্ধারণ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই আগে সম্পাদিত এফিডেভিটযুক্ত মামলার আইটেম নম্বর পরে সম্পাদিত এফিডেভিটযুক্ত মামলার আইটেম নম্বরের পরে নির্ধারণ করে কার্যতালিকা প্রস্তুত করা যাবে না।

উচ্চ আদালতে মামলা দায়েরের পর মামলা কার্যতালিকায় আনতে বাড়তি টাকা দিতে হয় বিচারপ্রার্থীদের- এ অভিযোগও দীর্ঘদিনের। আরও অভিযোগ, বেঞ্চ অফিসার ও সহকারী বেঞ্চ অফিসারদের মধ্যে কিছু অসাধু কর্মকর্তা মামলা কার্যতালিকায় ওঠানোর কথা বলে বাড়তি টাকা নেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কুমার দেবুল দে বলেন, কয়েকটি কোর্টে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়। সেসব কোর্টে তারিখ অনুসারে দৈনন্দিন কার্যতালিকা প্রস্তুত হয় সেখানে দুর্নীতি কিছুটা কমেছে।

পরিবেশ পদকপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, প্রধান বিচারপতির এটা একটা শুভ উদ্যোগ। এ উদ্যোগের কারণে অসাধু বেঞ্চ অফিসারদের দৌরাত্ম্যও কিছুটা কমেছে। কমেছে দুর্নীতিও। তবে সমস্যা ইমার্জেন্সি মামলার ক্ষেত্রে। এগুলো কার্যতালিকায় আনতে সমস্যা হচ্ছে। তবে কোর্টের অনুমতি নিয়ে ইমার্জেন্সি মামলাগুলোর শুনানি করা হচ্ছে। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম