শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ শীঘ্রই

সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ শীঘ্রই

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে শীঘ্রই বেশ কয়েকজন বিচারক নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে আপিল বিভাগে সর্বোচ্চ ১১ জন বিচারপতি থাকার নজির থাকলেও বর্তমানে আছে মাত্র ৭ জন। আর হাইকোর্ট বিভাগে আছে মাত্র ৮৮ জন বিচারপতি। বিষয়টি নিয়ে আইনমন্ত্রীর সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আলোচনা হয়েছে বলেও জানা গেছে। উল্লেখ্য এর আগে বিচারপতি নিয়োগে আইন কমিশন একটি সুপারিশমালা পাঠিয়েছিল আইন মন্ত্রণালয়ে। সুপারিশটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে আইন মন্ত্রণালয়।

সুপারিশ অনুসারে বিচারক নিয়োগের জন্য গঠন হবে একটি কমিশন। কমিশনে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও সুশীল সমাজের একজন করে প্রতিনিধি রাখার বিধানটি সংযোজন করা হবে। তবে প্রয়োজনে কমিশন গঠনের আগেই সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে বিচারক নিয়োগ হতে পারে বলেও জানা গেছে। এর আগে গত ১৯ আগস্ট আইন কমিশন বিচারপতি নিয়োগের সুপারিশমালা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
সম্প্রতি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শিগগিরই সর্বোচ্চ আদালতে প্রয়োজনের তাগিদে বিচারক নিয়োগ দেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বিচারক নিয়োগে কমিশন গঠনের পূর্বেই বিচারক নিয়োগ হবে। এটি প্রয়োজনের তাগিদেই করা হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।
চলতি বছরে আপিল বিভাগ থেকে একজন এবং হাইকোর্ট বিভাগ থেকে দুই জন বিচারপতি অবসরে যাবেন। তাছাড়া ২০১৬ সালের জানুয়ারিতেই হাইকোর্টের আরও দুই জন বিচারপতি অবসরে যাবেন। এদিকে হাইকোর্টের ছয় জন বিচারপতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিয়োজিত আছেন। সব মিলিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতির সংকট রয়েছে।
সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়ার যোগ্যতার কথা বলা আছে। প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হবেন এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতি অন্য বিচারককে নিয়োগ দেবেন। সংবিধান অনুযায়ী আইন পেশায় ১০ বছর মেয়াদ বা বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার পদে ১০ বছর অতিবাহিত হলেই হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগের যোগ্য হবেন। উচ্চ আদালতে কোনো নীতিমালা বা আইন না থাকায় বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। আইনজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা থেকে বিচারপতি নিয়োগের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের কথা ওঠে। অবশেষে আইন কমিশন একটি সুপরিশ প্রণয়ন করে তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সবেক সাধারণ সম্পাদক শ. ম রোজাউল করিম বলেন, আপিল বিভাগে ও হাইকোর্ট বিভাগে জরুরি ভিত্তিতিতে বিচারপতি নিয়োগ করা উচিত। বিষয়টি ভেবে শিগগিরই বিচারক নিয়োগ দেয়া হলে তা হবে দেশ ও জাতির জন্য আশাব্যঞ্জক। কেননা সুপ্রিম কোর্টে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ মামলা রয়েছে যা শুনানি হচ্ছে না। বিচারপ্রার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশে বিচারপতিদের জন্য যে সব সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয় তা পার্শ্ববর্তী অনেক দেশের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। আবাসন ব্যবস্থা, যানবাহন, মর্যাদার ক্ষেত্রেও বিচারপতিদের এখনো অনেক সমস্যা রয়েছে। এ কারণে অনেক প্রতিষ্ঠিত এবং যোগ্যতা সম্পন্ন আইনজীবী বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণে আগ্রহী হন না। তাই অবশ্যই বিচারক নিয়োগের আইনের পাশাপাশি তাদের সুযোগ-সুবিধা ও মর্যাদার বিষয়টিও আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম