মঙ্গলবার , ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ , ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ , ৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > সেপ্টেম্বরে ২৫ হাজার বাংলা ওয়েবসাইট উদ্বোধন

সেপ্টেম্বরে ২৫ হাজার বাংলা ওয়েবসাইট উদ্বোধন

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী সেপ্টেম্বরে ২৫ হাজার বাংলা ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব নজরুল ইসলাম খান।
সোমবার সকালে রাজধানী আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘‘ই গর্ভমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল সিগনেচার’’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান।
নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে হলে প্রযুক্তিবিদদের এগিয়ে আসতে হবে। দেশের সব সরকারি অফিসে তথ্য আরো সহজলভ্য করতে আগামী সেপ্টেম্বরে ২৫ হাজার বাংলা ওয়েব সাইট উদ্বোধন করা হবে। যে সাইটগুলো হবে সম্পূর্ণ বাংলায়। তিনি আরো বলেন, এই মন্ত্রণালয়টি হওয়ার পর থেকে আমরা নিরলসভাবে সাইটগুলো নিয়ে কাজ করছি। এজন্য আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার সিআইএ ওয়েবসাইটসহ বিভিন্ন সাইট দেখতে হয়েছে।
সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের যেকোনো একটি পথ বেছে নিতে হবে। হয়তো ডিজিটাল না হয় অ্যানালগ। কারণ আপনি ডিজিটাল পথে থাকবেন আবার অ্যানালগ ছাড়তে পারবেন না তা হয় না। কারণ এতে খরচ বেড়ে যায়।
উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, বিভিন্ন অফিসে বলা হয় একটা মেইল করুন। একটু পরেই বলা হয়, আমাকে একটা হার্ড কপি দিন। এরপর বলা হয় প্রেনড্রাইভে দিয়ে যান।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যদি তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে সর্ম্পৃক্ত থাকেন তবে একটা কাজ দুইবার করতে হয় না।
বাংলা ওয়েবসাইট আসলে সরকারি তথ্য পাওয়া ও কাজ অতি দ্রুত হয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ব্যাংকে খুব দ্রুত ডিভাইস ব্যবহার করে ডিজিটাল সিগনেচার চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভণর নাজনীন সুলতানা বলেন, ডিজিটাল সিগনেচারের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতে অনেক কাজ সহজ করা সম্ভব। এই পদ্ধতির ফলে ব্যাংকের অনেক জালিয়াতি কমে যাবে।
তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল সিগনেচার চালু হলে গ্রাহকরা সঞ্চয়পত্রসহ অনেক কাজ ঘরে বসেই করতে পারবেন। হয়রানি কমার পাশাপাশি ব্যাংকিং সেক্টরের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা বাড়বে।
ইংরেজি দৈনিক ফিন্সাসিয়াল এক্সপ্রেস’র সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, সরকারি ব্যাংকগুলোতে যদি ডিজিটাল সিগনেচার চালু থাকতো তাহলে হলমার্ক কেলেঙ্কারির মত ঘটনা ঘটানো সম্ভব হতো না।
তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ইলেকট্রনিক নথি ব্যবস্থাপনা ব্যবহারের জন্য সরকারি দপ্তরসমূহ ডিজিটাল স্বাক্ষর সার্টিফিকেট বিতরণ কর্মসূচি দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করে।