বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
বিদেশিরা আর কাজ করতে পারবেন না সৌদি আরবের শপিংমলগুলোতে। বৃহস্পতিবার দেশেটির নাগরিকদের দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান সৌদির শ্রম মন্ত্রণালয়। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে দেশটিতে কর্মরত কয়েক হাজার বাংলাদেশি শ্রমিকও বেকার হয়ে পড়বেন।
সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খালিদ আবাল খাইল টুইটারে শপিং সেন্টারগুলোতে শুধু সৌদি নারী ও পুরুষের কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। শপিং মলগুলোর ভেতরে নারীদের পোশাকের দোকানগুলোতে নারী বিক্রয়কর্মী নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে। ২০৩০ সাল নাগাদ সৌদি নাগরিকদের বেকারত্বের হার ১১ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনার যে লক্ষ্য সৌদি সরকারের রয়েছে, সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সৌদি সরকারের এ প্রচেষ্টা ‘ভিশন-২০৩০’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। সৌদি আরবে তেল উৎপাদন বা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা ও বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য এ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ভিশন-২০৩০ অনুযায়ী, খুচরা দোকানগুলোতে ১৫ লাখ শ্রমিক রয়েছে। এদের মধ্যে মাত্র ৩ লাখ সৌদি নাগরিক।
বলা হয়েছে, সৌদি আরব মূলত তেলনির্ভর অর্থনীতির দেশ। সৌদি আরবে রাস্তা পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছোটখাটো কাজে নিয়োজিত বিদেশি শ্রমিকরা। এর বড় একটি অংশ বাংলাদেশি। ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ সৌদি আরবে কর্মরত ছিলেন প্রায় ৯০ লাখ বিদেশি।
এদিকে সৌদি আরবের এ সিদ্ধান্তে শঙ্কায় রয়েছেন দেশটির বিভিন্ন শপিংমলে কর্মরত বাংলাদেশিরা। তারা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বেকার হয়ে পড়বেন বহু সংখ্যক বাংলাদেশি।
এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র শপিংমলে কর্মরতদের জন্যই কার্যকর হবে। অনেক বাংলাদেশি কাজ হারানোর ভয়ে বেশ শঙ্কিত যারা শপিংমলে কাজ করেন। এই সময়ের মধ্যে তারা অন্য কোনো জায়গায় কাজ জুটিয়ে না নিলে দেশে ফিরে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। এমনকি যেসব শপিংমলে বাংলাদেশি নারীরা কাজ করতো সেসব জায়গায় এখন আর বিদেশি কোনো নারী কাজ পাচ্ছেন না।