স্টাফ রিপোর্টার ॥ মিরপুরের পল্লবী। বিকেল সোয়া ৪টা। অফিস তখনও ছুটি হয়নি। বাড়ি ফেরা শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। রাস্তায় যানজট তখন থেকেই। যদিও এটা নতুন কিছু নয়। কিন্তু যানজট কি শধুই অতিরিক্ত যানের জন্য?
প্রশ্ন থেকেই যায়। ঢাকা শহরের চলাচলের প্রধান সড়কগুলো খুব সংকীর্ণ নয়। কিন্তু চলাচলের সময় মনে হয়, রাস্তা এত চিকন কেন।
মনে হবেই বা না কেন। সড়কের উপর যেভাবে সার বাঁধা গাড়ির বহর দেখা যায়, তাতে যে কেউ রাস্তা না গাড়ির পার্কিংয়ের কোনো জায়গা তা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দে পড়ে যাবেন।
এ চিত্র সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার মালিকানাধীন মোহনা টেলিভিশন ভবনের সামনের সড়কের। সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে থোকে সেখানে।
রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সড়ককে অবৈধ পার্কিং প্লেস বানিয়েছেন কতিপয় পরিবহন চালক। এতে পথ চলতে বেগ পেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এসব অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে মিরপুর-১২ নম্বর, কালশী কিংবা ফ্লাইওভার হয়ে উত্তরা যেতে প্রতিনিয়ত ধকল সামলাতে হয় সাধারণ পরিবহন শ্রমিকদের। অধিক সময় ব্যয়ে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা।
প্রশস্ত ফুটপাতও ঢাকা পড়েছে অবৈধ পার্কিংয়ে। যানজটের পাশাপাশি ফুটপাত ধরে হেঁটে যেতেও কষ্ট হয় পথচারীদের।
দিন দিন বড় হচ্ছে অবৈধ পার্কিংয়ের এসব গাড়ির সারি। চালকরা বলছেন, পার্কিংয়ের জায়গা না থাকায় তারা এ জায়গাকেই ব্যবহার করছেন দীর্ঘ দিন।
কোটি মানুষের এ শহরে এভাবে যদি চলাচলের সামান্য রাস্তাটুকুও দখল করে রাখা হয় অবৈধভাবে পার্কিং করে, তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? কেউ কি দেখার নেই বিষয়গুলো!