শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > জাতীয় > হজযাত্রীদের বিমানভাড়া ১ লাখ টাকার নিচে নির্ধারণের দাবি

হজযাত্রীদের বিমানভাড়া ১ লাখ টাকার নিচে নির্ধারণের দাবি

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
হজযাত্রীদের বিমানভাড়া ১ লাখ টাকার নিচে নির্ধারণ করাসহ পাঁচদফা দাবি জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ হজ্জযাত্রী ও হাজি কল্যাণ পরিষদ’। হজযাত্রীদের বিমানভাড়া না কমালে কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবেন বলে হুমকি দিয়েছেন পরিষদ নেতারা।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ হুমকি দেন সংগঠনের সভাপতি ড. আব্দুল্লাহ আল নাসের।

পরিষদ নেতাদের ঘোষিত পাঁচ দফা দাবির মধ্যে অন্য দাবিগুলো হলো-প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রতিবেশী দেশ ভারত, মালয়েশিয়ার মতো মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এয়ারলাইন্সকে হজযাত্রী পরিবহনের সুযোগ তথা থার্ড ক্যারিয়ার চালু করা; কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়া যাতে হজ এজেন্সি হজযাত্রীর সংখ্যা অনুযায়ী টিকিট পায় সে ব্যবস্থা নেয়া; হজের টিকিট বিক্রয়ে ফড়িয়া, দালাল সিন্ডিকেট বাতিল ও সৌদি এয়ারলাইন্সে সিন্ডিকেট প্রথা বাতিল করে হজ এজেন্সির হজযাত্রীর সংখ্যা অনুপাতে টিকিট বরাদ্দ এবং প্রতিবছর বেশি করে যাতে হজযাত্রী যেতে পারেন সেজন্য গণমাধ্যমের মাধ্যমে হজের ফজিলত বর্ণনা করে মুসলমানদের হজে যেতে উৎসাহিত করা।

সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সাবেক মহাসচিব ও হজ এজেন্সিজ অব বাংলাদেশের (হাব) নেতা আসলাম খান, হাবের সাবেক সভাপতি আব্দুস সোবহান ভূঁইয়া হাসান, মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজি কল্যাণ পরিষদের সহ-সভাপতি মাওলানা বশির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন, সাংগঠনিক সম্পাদক তাজাম্মুল হুসাইন, হাবের সাবেক নেতা রুহুল আমিন মিন্টু, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

সংগঠনের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নাসের বলেন, হজযাত্রীদের বিমানভাড়া কমানো না হলে রোববার মতিঝিলে বাংলাদেশ বিমানের অফিসের সামনে আমরা অবস্থান ধর্মঘট করব। প্রয়োজনে হজযাত্রীরা কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় নামবে। তিনি বলেন, বিমানভাড়া বাড়ানোয় হজযাত্রীদের শুধু কষ্ট হবে না, সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হবে। দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের হজযাত্রীও কমে যাবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

আব্দুল্লাহ আল নাসের আরও বলেন, এবার জ্বালানির দাম, ট্যাক্স কোনো কিছুই বাড়েনি। কিন্তু অযৌক্তিকভাবে হজযাত্রীদের বিমানভাড়া বাড়ানো হয়েছে ৫২ হাজার টাকা। তা শুধু বেআইনি নয়, আল্লাহর মেহমানদের ওপর জুলুম। বিমানভাড়া বাড়িয়ে বিমান সারা বছর যা লস করেছে, তা হজযাত্রীদের কাছ থেকে উসুল করার চেষ্টা করছে। এটা অন্যায় ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত। শুধু তাই নয়, ২০২০ সালে এই বাড়তি বিমানভাড়া যদি বহাল রাখা হয় তাহলে অর্ধেক হজযাত্রী পরিবহন করে সৌদি এয়ালাইন্সের মাধ্যমে ৩৫৬ কোটি টাকা নীরবে পাচার হয়ে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে আটাবের সাবেক মহাসচিব ও হাব নেতা আসলাম খান বলেন, বিমানভাড়া কোনোভাবে বাড়ানোর সুযোগ নেই, বরং কমানোর সুযোগ আছে। কারণ, এখন আমাদের তিনটি বড় উড়োজাহাজ বিমানবহরে যুক্ত হয়েছে।

বিমানের ৪২ দিন হজযাত্রীর প্যাকেজকে অযৌক্তিক দাবি করে এটি ৩০ দিনের প্যাকেজ ঘোষণার দাবি জানান হাবের সাবেক সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম।