শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > আন্তর্জাতিক > হেরেও হিলারি ক্লিনটনের বসবাস ‘হোয়াইট হাউসে’!

হেরেও হিলারি ক্লিনটনের বসবাস ‘হোয়াইট হাউসে’!

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
কথাটা অবিশ্বাস্য শোনালেও সত্যি! ২০১৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হিলারি ক্লিনটন হেরে গিয়েও একটি হোয়াইট হাউসে বসবাস করছেন। ১৯৯৯ সালের নভেম্বরে প্রায় ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি ১৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকায় কেনা একটি ডাচ কলোনিয়াল স্টাইলের বাড়িতে তিনি থাকেন। কিন্তু পুরোপুরি লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়েছেন; তার সময় কাটছে বই পড়ে ও একটি বই লিখে। মাঝে একবার নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইন্সের মার্গট গারস্টারের সঙ্গে চাপ্পাকুয়ার উপত্যকায় তার ক্ষণিকের দেখা হয়েছিল, সঙ্গে ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। সেটি মার্গট গারস্টারের ফেসবুকের তথ্যানুসারে গত বছর ১৩ নভেম্বর দৈনিক আমাদের অর্থনীতির প্রথম পাতায় নিজের সচিত্র প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।

তাই গত সপ্তাহান্তের ‘লং ইস্টার উইকঅ্যান্ডে’ নিউইয়র্ক সিটি ভ্রমণ শেষে রোববার অপরাহ্ণে সপরিবারে অর্থাৎ স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে নিয়ে ড্রাইভ করে কানাডা ফেরার পথে হিলারি ক্লিনটনের ওই বাড়ি দেখতে যাওয়া। জেকসনহাইটস এলাকা থেকে জিপিএস গাইডে ঠিকানাটা বসিয়ে যাত্রার মুহূর্তে দূরত্ব দেখা গেল ৩৫ মাইল এবং সময় লাগবে ঠিক ৪৫ মিনিট। কিন্তু নিউইয়র্ক সিটির ট্রাফিকজ্যাম বলে কথা! তাই রবার্ট কেনেডি ব্রিজ বা ট্রাইবরো ব্রিজ অতিক্রমের আগে যতখানি ঝক্কি পোহাতে হয়েছে, ততখানি আনন্দ মিলেছে ইন্টারস্টেট হাইওয়ে ৮৭ নর্থ, সো মিল পার্কওয়ে নর্থ ও সো মিল রিভার পার্কওয়ে নর্থ পেরিয়ে যেতে। চারপাশের পাহাড়, উপত্যকা ও নদীর অপরূপ সৌন্দর্য দেখে প্রাণ ভরে গেছে।

এরপর ব্রডওয়ে ও বেডফোর্ড রোড ধরে শেষটায় চাপ্পাকুয়ার সবুজ-শ্যামল গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া। কিন্তু সেখানে যে ওল্ড হাউস লেনের শেষ মাথায় সাবেক সিনেটর হিলারি ক্লিনটন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন থাকেন, সেটির দোরগড়ায় নিজেদের গাড়ি চালিয়ে যেতেই দেখা গেল সিকিউরিটি ফোর্সের দুটো কালো এসইউভি মুখোমুখি পথ রোধ করে অপেক্ষমান। আমাদের দেখে একটি চতুষ্পার্শ্বের ‘রেড-ব্লু’ বাতি জ্বালাল। কিছু বুঝে ওঠার আগে মাইকে শোনা গেল, ‘স্টে ইনসাইড ইওর কার’। তারপর নীরব কয়েক মিনিট কাটতেই দেখলাম, একটির ড্রাইভিং সিটে বসা সিকিউটি অফিসার ওয়াকিটকিতে কাউকে কিছু বলছেন। একইসঙ্গে এটাও অনুধাবন করলাম হয়তো ততক্ষণে এসইউভি দুটির সিকিউরিটি অফিসাররা আমার গাড়ির অন্টারিও প্রভিন্সের প্লেটের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ শেষ করেছে। তাই নিজের ড্রাইভিং সিট থেকে হাতের ইশারায় একজনকে ডাকলাম। কিছুক্ষণ পর টি-শার্ট পরিহিত ও কোমরে রিভলবার বাঁধা ওই সিকিউরিটি অফিসার ওয়াকিটকিতে কথা বলতে বলতে এগিয়ে এলেন। তাকে নিজের কানাডিয়ান মিডিয়া ব্যাজ দেখিয়ে বললাম, ‘আই অ্যাম ফ্রম দ্য মিডিয়া অ্যান্ড দিস ইজ মাই ফ্যামিলি। উই লাইক টু সি সেক্রেটারি হিলারি অ্যান্ড প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন’। উত্তরে তিনি ‘ইউ ক্যান নট সি দেম’ বলেই নিজের গাড়ির দিকে দ্রুত ফিরে গেলেন। অগত্যা গাড়ি ঘুরাতে হলো। তবু চলে যাওয়ার আগে ব্যাকগ্রাউন্ডে ‘ক্লিনটনস হোম’টি রেখে ওল্ড হাউস লেনের প্রথম বাড়ির মেইল বক্সের ঠিকানা সম্বলিত একটি সেলফি তুললাম। আমার ছেলে উল্লসিত হয়ে বলল, ‘ইটস্ ফেরোসিয়াস দ্যান পাপারাজ্জি, বাবা’!