বুধবার , ১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ , ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ , ৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > খেলা > হ্যাটট্রিক শিরোপা মোহামেডানের

হ্যাটট্রিক শিরোপা মোহামেডানের

শেয়ার করুন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শেখ জামালকে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে হারিয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপা ঘরে তুলেছে মোহামেডানের মেয়েরা। ধানমন্ডির ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১২৯ রান করে শেখ জামাল ধানমন্ডি কাব। জবাবে ৩২ ওভার খেলেই ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় সালমাবাহিনী। টুর্নামেন্টের পাঁচ আসরে এটি মোহামেডানের চতুর্থ শিরোপা। অন্যদিকে ২০১১ সালের মতো আবারও ফাইনালে মোহামেডানের সঙ্গে শেখ জামাল হেরে তাদের শিরোপা হাতছাড়া করলো। প্রথম শিরোপার কাছাকাছি গিয়ে মোহামেডানের মেয়েদের নৈপুণ্যের কাছে দাঁড়াতেই পারেনি শেখ জামাল। টুর্নামেন্টে ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড  নৈপুণ্যের জন্য সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন সালমার সতীর্থ সাথিরা জাকির জেসি। ৫ ম্যাচ খেলে ৪৮.৫ গড়ে ১৯৪ রান করার পাশাপাশি ১৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। উইকেট শিকারীর তালিকায়ও সবার উপরে তিনি। পাঁচ ম্যাচে ৪২.৮ গড়ে ২১৪ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রানের মালিক মোহামেডান ও জাতীয় দলের অধিনায়ক সালমা খাতুন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান দুই দলের হাতে ট্রফি তুলে  দেন। জয়ের আনন্দে মোহামেডানের কোচ ইমতিয়াজ হোসেন পিলু বলেন, ‘আসলে আমার কিছুটা ভয় ছিল। শেখ জামাল বেশ ভাল দল। তবুও মেয়েদের উপর বিশ্বাস রেখেছি। জানতাম ওরা জিতবেই।’
সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পাওয়া জেসি বলেন, ‘টানা পাঁচ বছর খেলার পর জাতীয় দল  থেকে বাদ পড়ায় একটা জেদ কাজ করছিল। এর মধ্যে তিনটি ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলেছি। তিনটিতেই পারফরম্যান্স ভাল ছিল। জাতীয় দলে ফেরার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’ অন্যদিকে কাব ক্রিকেট নতুন ক্রিকেটার উঠে না আসার হতাশা থাকলেও জাতীয় ও মোহামেডানের অধিনায়ক সালমা বলেন, ‘টুর্নামেন্টে পুরনোরাই ভাল করেছে। চারটা পুল না করে বিসিবি দু’টি পুল করলে মেয়েরা নতুন কাবে খেলতে পারতো। তখন শিরোপা লড়াই দুই দলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো না বরং নতুনদের উঠে আসারও সুযোগ   তৈরি হতো।’ গতকালের  ম্যাচে শেখ জামালের  টার্গেট তাড়া করতে নেমে চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক সালমা খাতুনের সঙ্গে রুমানা আহমেদের ৬২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি দলকে সহজ জয় এনে দেয়। ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন ফাইনালের  সেরা খেলোয়াড় সালমা। এছাড়া শুকতারা রহমান ২১ ও শারমীন সুলতানা ২০ রান করেন।  শেখ জামালের পে খাদিজাতুল কুবরা ৩২ রানে  নেন ২ উইকেট। এর আগে মোহামেডানের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সংগ্রহ খুব এটা বড় হয়নি শেখ জামালের। রেশমা আক্তার ২৪ ও সুবর্ণা ইসলামের ২২ রান করেন। শেষ ১০ ওভারে ৪৯ রান তুলে লড়াইয়ের পুঁজি গড়ার চেষ্টা করে  শেখ জামালের মেয়েরা। ১১ রানে ২ উইকেট নিয়ে তাহিন তাহেরা মোহামেডানের  সেরা বোলার।
অন্যদিকে একপেশে ফাইনালে হতাশ শেখ জামাল ধানমন্ডি কাবের অধিনায়ক জাহানারা আলম। তিনি বলেন, ‘টপ অর্ডারের কাছ থেকে আরেকটু  বেশি রান আশা করেছিলাম। ওরা আর কিছু রান করে গেলে পরের দিকে ব্যাটিং করাটা সহজ হতো।’
হ্যাটট্রিক শিরোপা মোহামেডানের
স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শেখ জামালকে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে হারিয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপা ঘরে তুলেছে মোহামেডানের মেয়েরা। ধানমন্ডির ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১২৯ রান করে শেখ জামাল ধানমন্ডি কাব। জবাবে ৩২ ওভার খেলেই ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় সালমাবাহিনী। টুর্নামেন্টের পাঁচ আসরে এটি মোহামেডানের চতুর্থ শিরোপা। অন্যদিকে ২০১১ সালের মতো আবারও ফাইনালে মোহামেডানের সঙ্গে শেখ জামাল হেরে তাদের শিরোপা হাতছাড়া করলো। প্রথম শিরোপার কাছাকাছি গিয়ে মোহামেডানের মেয়েদের নৈপুণ্যের কাছে দাঁড়াতেই পারেনি শেখ জামাল। টুর্নামেন্টে ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড  নৈপুণ্যের জন্য সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন সালমার সতীর্থ সাথিরা জাকির জেসি। ৫ ম্যাচ খেলে ৪৮.৫ গড়ে ১৯৪ রান করার পাশাপাশি ১৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। উইকেট শিকারীর তালিকায়ও সবার উপরে তিনি। পাঁচ ম্যাচে ৪২.৮ গড়ে ২১৪ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রানের মালিক মোহামেডান ও জাতীয় দলের অধিনায়ক সালমা খাতুন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান দুই দলের হাতে ট্রফি তুলে  দেন। জয়ের আনন্দে মোহামেডানের কোচ ইমতিয়াজ হোসেন পিলু বলেন, ‘আসলে আমার কিছুটা ভয় ছিল। শেখ জামাল বেশ ভাল দল। তবুও মেয়েদের উপর বিশ্বাস রেখেছি। জানতাম ওরা জিতবেই।’
সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পাওয়া জেসি বলেন, ‘টানা পাঁচ বছর খেলার পর জাতীয় দল  থেকে বাদ পড়ায় একটা জেদ কাজ করছিল। এর মধ্যে তিনটি ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলেছি। তিনটিতেই পারফরম্যান্স ভাল ছিল। জাতীয় দলে ফেরার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’ অন্যদিকে কাব ক্রিকেট নতুন ক্রিকেটার উঠে না আসার হতাশা থাকলেও জাতীয় ও মোহামেডানের অধিনায়ক সালমা বলেন, ‘টুর্নামেন্টে পুরনোরাই ভাল করেছে। চারটা পুল না করে বিসিবি দু’টি পুল করলে মেয়েরা নতুন কাবে খেলতে পারতো। তখন শিরোপা লড়াই দুই দলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো না বরং নতুনদের উঠে আসারও সুযোগ   তৈরি হতো।’ গতকালের  ম্যাচে শেখ জামালের  টার্গেট তাড়া করতে নেমে চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক সালমা খাতুনের সঙ্গে রুমানা আহমেদের ৬২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি দলকে সহজ জয় এনে দেয়। ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন ফাইনালের  সেরা খেলোয়াড় সালমা। এছাড়া শুকতারা রহমান ২১ ও শারমীন সুলতানা ২০ রান করেন।  শেখ জামালের পে খাদিজাতুল কুবরা ৩২ রানে  নেন ২ উইকেট। এর আগে মোহামেডানের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সংগ্রহ খুব এটা বড় হয়নি শেখ জামালের। রেশমা আক্তার ২৪ ও সুবর্ণা ইসলামের ২২ রান করেন। শেষ ১০ ওভারে ৪৯ রান তুলে লড়াইয়ের পুঁজি গড়ার চেষ্টা করে  শেখ জামালের মেয়েরা। ১১ রানে ২ উইকেট নিয়ে তাহিন তাহেরা মোহামেডানের  সেরা বোলার।
অন্যদিকে একপেশে ফাইনালে হতাশ শেখ জামাল ধানমন্ডি কাবের অধিনায়ক জাহানারা আলম। তিনি বলেন, ‘টপ অর্ডারের কাছ থেকে আরেকটু  বেশি রান আশা করেছিলাম। ওরা আর কিছু রান করে গেলে পরের দিকে ব্যাটিং করাটা সহজ হতো।’