মঙ্গলবার , ১৯শে মার্চ, ২০২৪ , ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > ২০১৮ পর্যন্ত করমুক্ত সুবিধা পাচ্ছেন বেসরকারি উদ্যোক্তারা

২০১৮ পর্যন্ত করমুক্ত সুবিধা পাচ্ছেন বেসরকারি উদ্যোক্তারা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ বিদ্যুৎ খাতের বেসরকারি উদ্যোক্তা-আইপিপিরা (ইনডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার) আগামী ২০১৮ সাল পর্যন্ত করমুক্ত সুবিধা পেতে যাচ্ছেন। আর এ সুবিধার সময়সীমা বাড়ানোর জন্য এরইমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, আইপিপিরা বিদেশি ঋণ গ্রহণ, যন্ত্রাংশ ক্রয় ও রয়্যালটিসহ যেসব বিষয়ে কর সুবিধা পেতেন তা চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে শেষ হচ্ছে। এখন এ সুবিধার সময়সীমা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
কারণ হিসেবে তারা জানান, করমুক্ত সুবিধার সময়সীমা বাড়ানো না হলে নতুন উদ্যোক্তা বা যারা এরই মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে চুক্তি করেছেন, তারা হয়তো বাস্তবায়নে আসবেন না। তাই এ খাতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের টানতে করমুক্ত সুবিধার সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে।
এ লক্ষে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান আবদুহু রুহুল্লাহ এবং বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব আনোয়ার হোসেনকে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পিডিবির চেয়ারম্যান আবদুহু রুহুল্লাহ বলেন, ‘করমুক্ত এ সুবিধা ইনডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসাররা আগে থেকেই পেয়ে আসছিলেন। এখন শুধুমাত্র এ সুবিধার সময়সীমা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
এ খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। যেখানে ২০০৯ সালে বেসরকারি কোম্পানিগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন করত এক হাজার ৬১৮ মেগাওয়াট, সেখানে তা বেড়ে বর্তমানে প্রায় চার হাজার মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে আইপিপি (ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্লান্ট) থেকে এক হাজার ৪০০ মেগাওয়াট, এসআইপিপি (স্মল ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্লান্ট) থেকে ৩৫০ মেগাওয়াট এবং তেল ভিত্তিক ব্যয়বহুল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দুই হাজার ৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এতে ফার্নেস অয়েলের উপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে। ফলে সরকারের ভর্তুকিও বাড়ছে। আর এ ভর্তুকির বোঝা কমাতে বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে ছয় দফায় বিদ্যুতের দামও বাড়ানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বেসরকারি উদ্যোক্তাদের প্রয়োজন আছে। তবে তাদেরকে গ্যাস ও তেলের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে আগ্রহী হতে হবে। একমাত্র কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনই পারবে সরকারের ভর্তুকি কমানোর পাশাপাশি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দামও কমাতে। এভাবে বেসরকারি খাতে করমুক্ত সুবিধার সময়সীমা বাড়িয়ে তেমন একটা লাভ হবে না বলে মনে করছেন তারা।