শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > আন্তর্জাতিক > ‘২০ বছর ধরে ফখরিজাদেহকে হত্যার চেষ্টা করেছে শত্রুরা’

‘২০ বছর ধরে ফখরিজাদেহকে হত্যার চেষ্টা করেছে শত্রুরা’

শেয়ার করুন

অনলাইন ডেস্ক ॥
ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি বলেছেন, তার দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসীন ফখরিজাদেহের ওপর সম্ভাব্য হামলা এবং এ রকম হামলার সম্ভাব্য স্থানগুলোর ব্যাপারে পূর্বাভাস দিয়েছিল।

সোমবার রাজধানী তেহরানের অদূরে বিজ্ঞানী ফখরিজাদেহের জানাযার নামাজে অংশ নেন তিনি। সে সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আলী শামখানি বলেন, শত্রুরা গত ২০ বছর ধরে ইরানের এই বিশিষ্ট বিজ্ঞানীকে হত্যা করার চেষ্টা করে এসেছে।

আলী শামখানি বলেন, দুঃখজনকভাবে ফখরিজাদেহের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শিথিলতা এসেছিল এবং শত্রুরা সেই সুযোগের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করেছে। তবে ফাখরিজাদেহের মতো বিজ্ঞানীর সংখ্যা ইরানে কম নয় বলেও জানান তিনি। একজন ফাখরিজাদেহকে হত্যা করলে শত শত ফখরিজাদেহর জন্ম হবে।

ইরানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কর্মকর্তা শামখানি বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের শত্রুরা ফখরিজাদেহের শিখিয়ে যাওয়া জ্ঞান ও প্রযুক্তি এদেশের তরুণ বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে পারবে না।

ইরানের বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবন বিষয়ক সংস্থার চেয়ারম্যান মোহসীন ফখরিজাদেহ শুক্রবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন। রাজধানী তেহরানের পূর্বাঞ্চলে তার কাছাকাছি অন্য একটি গাড়ি থেকে রিমোট কন্ট্রোলড বন্দুকের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে বলে ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্সের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রথম থেকেই এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইরানের শীর্ষ নেতারা ইসরায়েলকে দায়ী করে আসছেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামিনি এবং অন্যান্য নেতারা দেশটির প্রধান পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসীন ফখরিজাদেহের হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

রোববার ফার্স নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফখরিজাদেহ গত শুক্রবার একটি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে করে তার স্ত্রীকে নিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। সে সময় নিরাপত্তাবাহিনীর তিনটি গাড়ি তাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল। তখন একটি গাড়িতে বুলেট লাগার শব্দ হয়। তিনি তখন কী ঘটেছে তা দেখার জন্য বের হন। তিনি গাড়ি থেকে বের হওয়ার পর পরই একটি রিমোট কন্ট্রোলড বন্দুক থেকে গুলি ছোড়া হয়।

ফার্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফখরিজাদেহের গাড়ি থেকে ১৫০ মিটার দূর থেকে তাকে গুলি করা হয়েছিল। তাকে কমপক্ষে তিনবার গুলি করা হয়। তার দেহরক্ষীকেও গুলি করা হয়েছে। প্রায় তিন মিনিট ধরে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।