বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৪ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৭ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > অর্থ-বাণিজ্য > ৪০ টাকার কমে মিলছে না সবজি

৪০ টাকার কমে মিলছে না সবজি

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ৪০ টাকার কমে কোনো সবজি কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েক মাস ধরে বেশি দামে বিক্রি হওয়া বেগুন, পটল, ঝিঙা, ধুন্দল, করলা, বরবটি, ঢেঁড়স, টমেটোসহ প্রায় সব সবজির দাম শুক্রবার আরও একটু বেড়েছে।

শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ি ও সায়েদাবাদ এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবারের তুলনায় প্রায় সব সবজির দাম কেজিতে ৫ টাকার ওপর বেড়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার প্রতিকেজি পটল বিক্রি হয়েছিল ৩০-৩২ টাকায়। শুক্রবার এটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ৮ টাকার ওপরে।

একই অবস্থা অন্যান্য সবজিগুলোর ক্ষেত্রেও। ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা। ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

প্রতিকেজি ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। বৃহস্পতিবার এর দাম ছিল ৪০-৪২ টাকা। ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হওয়া করলার দাম বেড়ে হয়েছে ৪০-৪৫ টাকা।

বেড়েছে টমেটা ও শসার দামও। ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া টমেটোর দাম বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা। আর ২০-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া শসা শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়।

বরবটির দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকায়। বৃহস্পতিাবর এর দাম ছিল ৫০-৫৫ টাকা। ঢেঁড়সের দাম ৩০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা। হালিতে কাঁচাকলার দাম বেড়েছে ৫ টাকার ওপরে। ২৫ টাকা হালিতে বিক্রি হওয়া কাঁচাকলা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়।

দাম বাড়ার তালিকায় পিছিয়ে নেই ডাটাও। ২০ টাকায় আটি বিক্রি হওয়া মোটা ডাটা শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। তবে কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে চিকন ডাটাসহ শাক। ৫ থেকে ১০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে এই ডাটা ও শাক।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পণ্যের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। সব সবজিই আড়ত থেকে বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে, যে কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ি কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সব সবজির দাম বেড়ে গেছে। সামনে দাম আরও বাড়তে পারে। কারণ অনেক সবজিই এখন খুব কম পাওয়া যাচ্ছে। ফুলকপি ও সিম এখন পাওয়াই যাই না। আর যেগুলো পাওয়া যায় তার মান খুবই খারাপ। ক্রেতারা কিনতে চাই না। অন্যান্য সবজির সরবরাহও কম, তাই দামও বাড়তি।

ধলপুর বৌ-বাজারের বিক্রেতা ফাতেমা বেগম বলেন, শুক্রবার সাধারণত দাম বেশি থাকে। তবে আজ গত সপ্তাহের তুলনায় একটু বেশি। সকালে আড়তে সবজি কিনতে গিয়ে চাহিদা মতো সব কিনতে পারিনি। সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। যে কারণে আমরাও বেশি দামে বিক্রি করছি। দাম বাড়লে আমাদেরও লোকসান। কারণ দাম বাড়লে বিক্রিও কমে যায়।

মিরহাজীরবাগে কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন বলেন, আমি সাধারণত প্রতি শুক্রবার এক সপ্তাহের বাজার একসঙ্গে করি। গত সপ্তাহে ৪৫ টাকা কেজি দরে বেগুন কিনেছিলাম, আজ কিনতে হয়েছে ৬০ টাকায়। পটলের দামও বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহে যে শসা ২০-২৫ টাকায় কিনেছিলাম, আজ তা ৩০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে।

এদিকে দাম অনেকটাই স্থির আছে তেল, আটা, পেঁয়াজ, রসুন ও আলুর দাম। প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্র হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকায়। বোতলজাত সয়াবিল তেল ১ লিটার বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়। আর ৫ লিটারের বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ৪৯০ টাকা থেকে ৫১৫ টাকায়।

প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫-১৮ টাকায়, দেশি পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৮০-২০০ টাকা, দেশি রসুন ৭০-৮০ টাকা, খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ২৩-২৫ টাকা কেজি দরে।